সাকিব আল হাসান, রৌমারী(কুড়িগ্রাম) : একটি ব্রিজের অভাবে চরাঞ্চলের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা সদর থেকে মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে যোগাযোগের সংযোগ সড়ক থাকলেও কোদালকাটি ইউনিয়ন পুরোটাই সোনাভরি নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। কোদালকাটি ও মোহনগঞ্জ চরাঞ্চলীয় নদীমাতৃক জনপদ যা অত্র উপজেলার মূল ভূখণ্ডের ২ তৃতীয়াংশ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চরাঞ্চলীয় কোদালকাটি ইউনিয়নে চরসাজাই, বদরপুর, আনন্দ বাজার, পাখিউড়া, হাতিমারাসহ ছোট বড় প্রায় ২৫টি এবং রৌমারী উপজেলা যাদুরচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ প্রায় ৩০টি গ্রাম রয়েছে। রয়েছে ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি দাখিল মাদ্রাসা, ৪টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, কয়েকটি হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কোদালকাটি গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ, হাবিবুর রহমান, জব্বার আলী বলেন, চরাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষি পণ্য ধান, পাট, গম, ভুট্টা, বাদাম, বিভিন্ন প্রকার রবি ফসলসহ শাক-সবজি দ্বারা ভরপুর যা আমরা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রাজিবপুর, কর্তিমারী, রৌমারীর বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির জন্য সোনাভরি নদী পার হয়ে যেতে হয়।
ভুক্তভোগী এলাকার আ. রশিদ মাষ্টার, জয়নাল মাষ্টারসহ অনেকেই জানান, স্বাধীনতার প্রায় ৫০টি বছর অতিবাহিত হতে যাচ্ছে, আমারা স্বাধীনতা ভোগ করতে পাচ্ছি না। দেশের সব স্থানেই উন্নয়নের জোয়ার বইছে কিন্তু এই এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়াও লাগে নাই। নির্বাচন এলেই অত্র অঞ্চলের মানুষকে জনপ্রতিনিধিগণ উন্নয়নের নানা ধরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও, নির্বাচন শেষে তাদের মাঠে দেখা যায় না। দুঃখের বিষয় শুধু ব্রিজের দাবি করেই গেলাম কিন্তু বাস্তবায়ন পেলাম না।
জনগণের দাবির মুখে খাজার ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো বলেন, ওখানে একটি ব্রিজের অতি প্রয়োজন। সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে সোনাভরি নদীর উপর খাজার ঘাটে একটি ব্রিজের দাবি জানানো হয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো।