মো.আমিন আহমেদ, সিলেটঃ শাশুড়ির আশির্বাদে সিএনজি ড্রাইভার থেকে এখন ইয়াবা কারবারি বনেছে রিপন। মাদকবিরোধী অভিযানেও সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে। কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না তার দৌরাত্ম। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে টাকার গরমে সে কাউকে পাত্তাই দিচ্ছে না বলে জানা গেছে। কেউ তার মাদক ব্যবসায় বাধাঁ হয়ে দাঁড়ালে তার বিরুদ্ধে নেমে আসে সীমাহীন নির্যাতন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ২-১ বছর আগেও রিপন (প্রকাশ ইয়বা রিপন ) সিএনজি চালাতো। ইয়াবা গডফাদারদের সংস্পর্শে গিয়ে সে জড়িয়ে পড়ে ইয়াবা পাচারে। শুরুতে সিএনজির বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা লুকিয়ে সে ইয়াবা পাচার করতো। পরে নানা ভাবে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ইয়াবা পাচার করে অল্পতেই বনে যায় অনেক টাকার মালিক ।
দেশের বাড়িতে নামে-বেনামে নিয়েছে একাধিক জমি। এতো অল্প সময়ে তার পরিবর্তন দেখে অবাক হয়ে পড়ে স্থানীয় বেশ কিছু সিএনজি চালক( ড্রাইভার) । তবে কারও কথাতেই সে কর্ণপাত করে না। তার আছে সাহসী স্ত্রী ও তার পতিতা সর্দার শাশুড়ির ছুমেনা বেগম অপরাধ জগতে তার অনুপ্রেরণা সয়ং সাসুরি।
তার শাশুড়ির ছুমেনা বেগম একজন তালিকাভুক্ত পতিতা সর্দার । শাশুড়ির দোয়া নিয়ে বর্তমানে ইয়াবা রাজ্যে সক্রিয় হয়ে উঠে সে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার ক্ষমতার এতই পাওয়ার ইয়াবা ব্যবসা করলেও তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। নগরীর শাহজালাল উপশহরে তার রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ।
দেশব্যাপী চলছে মাদক বিরোধী অভিযান যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এতোকিছুর পরও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে সিলেট নগরীর মিরাপাড়া,সবুজবাঘ,লামাপাড়া ও শাহজালাল উপশহর এলাকার মাদক ব্যবসার হোতা সিএনজি রিপন ওরফে (ইয়াবা রিপন )।
ইয়াবা রিপনের বেপরোয়া মাদক বিক্রির কারনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী।
পুলিশের নাকের ডগায় প্রশাসনকে বূদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে উল্টো আশাধু কিছু ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে কিভাবে প্রকাশ্যে যুব সমাজ বিদ্ধংসীকারী ইয়াবার সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা রিপন।
সরকার মাদক নির্মূলে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছেন যা এখনো চলমান, কিন্তু নগরীর টুল টিকর ইউনিয়নের মিরাপাড়া ও অভিজাত এলাকা উপশহরের ইয়াবা স্বর্গরাজ্যখ্যাত ছোঁয়া লাগেনি। ফলে এখানে ইয়াবা রিপন আরও বেপরোয়া।
অনুসন্ধানে এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, সিএনজি চালক ইয়াবা রিপন সিলেট সদর উপজেলার টুলটিকর ইউনিয়নের মিরাপাড়া এলাকার ফটিক মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকে। ঐ বাসায় থাকাবস্থায় শুধু ইয়াবা ব্যবসা পরিচালোনা করার জন্য এই বাসা ভাড়া নেয় এবং সেখান থেকেই সে পরিচালনা করছে তার মাদক ব্যাবসা। শুধু তাই নয় মাদক ব্যাবসা পরিচালনার জন্য পুলিশের গতিবিধির ওপর নজরদারী রাখতে ইয়াবা রিপন মাঝেমধ্যে সিএনজি চালিয়ে যাচ্ছে যাতে করে এভাবে অভিনব পন্থায় রিপন সিএনজি চালিয়ে করে যাচ্ছে তার ইয়াবা সম্রাজ্য ।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, ইয়াবা রিপন দীর্ঘদিন ধরে সমাজ বিধ্বংসী মরণনেশা ইয়াবা ব্যাবসার আধিপত্য জুড়ে বসলেও তা দমনে শাহপরান (রহঃ) থানা পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার মাদক ব্যবসা। সিএনজি চালানোর ফাকে রিপন ওরফে ইয়াবা রিপন তার মাদকের ব্যবসা রমরমা করে তুলেছে। সূত্রমতে শীর্ষ ইয়াবা কারবারির সহযোগিতায় রিপন বেপরোয়া ভাবে বিনা বাধায় তার এই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে এলাকার তরুন ও যুব সমাজ অতিসত্বর নিজেদের ধ্বংসলীলায় নিজেরাই অবতীর্ণ হতে চলেছে।
এব্যাপারে জানতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা
শ্রমিক ইউনিয়ন উপশহর শাখা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানিক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ইয়াবা রিপন আগের কমিটির সদস্য ছিল বর্তমান কমিটিতে বর্তমান রুল অনুযায়ী সে সদস্য না। দীর্ঘদিন সে লাপাত্তা থাকার কারনে সে আমাদের সংগঠনের ভোটার হতে পারেনি।