ভোলা জেলা প্রতিনিধি ( মোঃ শফিকুল ইসলাম বাবু )
ভোলার চর কুকরি মুকরি। নেই শহরের কোন কোলাহল, নেই যানবাহনের বিকট শব্দ, শুধু আছে মানুষের ভালবাসা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
নয়নাভিরাম নৈসার্গিক সৌন্দর্য ঘিরে এখানে ঘরে উঠতে পারে তৃতীয় পর্যটন কেন্দ্র। যা থেকে সরকার আয় করতে পারবে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। কারন এখানে রয়েছে কক্সবাজার ও কুয়াকাটার মত দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ও গভীর অরন্য যা পর্যটক আকর্ষণে বিশেষ ভুমিকা রাখবে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে এখানে থাকে পর্যটক দের উপছে পরা ভির।
জানা যায় চরফ্যাশন উপজেলা হতে ৫০ কিমি দক্ষিণে চর কুকরি মুকরি অবস্থিত।
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে গড়ে ওটা এ চর কে এলাকাবাসী ” দ্বীপকন্যা ” বলে ডাকে।
কুকরিমুকরি ইউনিয়নটি বাবুগন্জ,নবীনগর,রসুলপুর,আমিনপুর,শাহাবাজপুর,মুসলিম পাড়া,চর পাতিলা ও শরীফ পড়া নিয়ে গঠিত।
এখানে গভীর অরন্য রয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি হরিন।এছাড়াও রয়েছে অতিথি পাখি,লাল কাকড়া,বুনো মহিষ,বানর,বন বিড়াল, উদবিড়াল,শেয়াল,বনমোরগ সহ বহু জাতের নানান প্রজাতি।
শীত কালে কুকরি মুকরি চেহারা থাকে ভিন্ন ধরনের। বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কালতানে মুখরিত হয়ে ওঠে অঞ্চলের চারপাশ।
সুদূর সাইবেরিয়া হতে আগত অতিথি পাখিদের আগমনে এলাকাটি নতুন রুপ ধারন করে। মৌসুমী মাসে ১৫০ প্রজাতির পাখি বাংলাদেশে আসে, এর মধ্যে বেশির ভাগই ভোলায় অবস্থান করে
চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন,পর্যটকদের জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে রেস্ট হাউজ নির্মাণ করেন সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।গত বছরের ২৫ জানুয়ারী রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদ উদ্বোধন করেন ও স্ব পরিবারে রাত্রি যাপন করেন।
এখানে রয়েছে সব ধরনের পুলিশি নিরাপত্তা, কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে উপস্থিত হয়।
আব্দুল আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, চরফ্যাশন কে আমি রাজধানী বানাতে পারবো না এটা সত্য, কিন্তু এখানে এমন কিছু করেছি যা দেখার জন্যে মানুষ রাজধানী হতে ছুটে আসতে হবে।