প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন (জাগৃতি প্রকাশনী) হত্যা মামলায় বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে ২ জন আসামী পলাতক রয়েছেন।
আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
দীপন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- বরখাস্তকৃত মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিনে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার পর ওই দিনই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ২৩ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান তারা। এরপর রোববার আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য হয়।