মো.নাছির উদ্দিন, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সেকের কান্দি গ্রামের হযরত শাহ্ নবাব ডেইরি ফার্মে ২৪ ঘন্টায় ব্যবধানে ১১টি গরু মারা গেছে।
এ ঘটনায় গতকাল খামার মালিক মো.বাবুল মিয়া বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তবে ডায়েরিতে কাউকে সন্দেহ বা অভিযুক্ত করা হয়নি।
গত শনিবার সকাল থেকে গতকাল রবিবার সকাল এর মধ্যে এক এক করে ১১টি গরুর মৃত্যু হয় বলে খামার মালিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
হযরত শাহ্ নবাব ডেইরি ফার্মের মালিক মো.বাবুল মিয়া জানান, তার খামারে অস্ট্রেলিয়ান ফিজিয়ান ছোট বড় মিলিয়ে ২৬ টি গরু ছিল। শুক্রবার রাতে আমি বাড়ীর পাশে মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলে চলে যাই, সকালে এসে ফার্মে দেখি ৬টি গরু মরে পড়ে আছে। এভাবে রবিবার দুপুর পর্যন্ত এক এক করে ১১টি গরু মারা যায়। ১৫টি গরু অসুস্থ আর ১টি গরু নাকে মুখে রক্ত আসছে অবস্থা আশাংকাজনক।
বাবুল মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং উদ্যোক্তার যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত একটি কম্পানি, ইইএফ ইউনিট বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এর থেকে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা এনেছি, ২০১৭ সালে ও এক এক করে ৩৬টি গরু মারা যায়। গরুগুলো মারা যাওয়ার কারণে মানুষের কাছ থেকে ধার-দেনা করে আবারো ২৬টি গরু কিনেছি। এখন আবারো ১১টি গরু মারা গেছে, বাকী গরুগুলো অসুস্থ আমি এখন পথের ফকির।
তবে লক্ষণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, শত্রুতার জেরে খাবারে বিষ দিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই খাবার খেয়েই গরুগুলো মারা গেছে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি রাজু আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সরোয়ার বলেন, এটা খুবই কষ্টের বিষয়। প্রানিসম্পদ কর্মকর্তাকে বলেছি মারা যাওয়া গরুগুলোর ময়নাতদন্ত করতে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অফিসার জানিয়েছেন, মৃত গরুগুলোর ময়নাতদন্ত এবং ঘাস ও মলমূত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে, আর ঠিক কী কারণে মারা গেছে তা রিপোর্ট আসলে বলা যাবে।