ডেস্ক রিপোর্টঃ আগামী বছর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রেলযোগাযোগ শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এছাড়া, খুব শীগগিরই বাংলাদেশ রেলে যুক্ত যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা উচ্চগতি (ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার) সম্পন্ন ৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন। উচ্চগতি সম্পন্ন এসব ইঞ্জিন আগামী মার্চ মাসেই আসা শুরু হবে। পাশাপাশি কোরিয়া থেকে আনা হবে উচ্চ গতি সম্পন্ন ৮টি মিটারগেজ ইঞ্জিন।
গতকাল বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন তার নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, সারাদেশে রেল যোগাযোগ বাড়াতে আরও চারটি বড় রেল স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে। চলতি অর্থ বছরেই ৫০টি জরাজীর্ণ রেল স্টেশন সংস্কার ও আধুনিয়াকনের কাজ বাস্তবায়ন হবে। যেসব স্টেশনের ফ্ল্যাটফর্মগুলো নিচু আছে সেগুলো উঁচু করা হবে। আর যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, ওই দিনই ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেল চলাচলও শুরু হবে। ঢাকা-যশোর পদ্মা লিংক রেল লাইনে কোন গেট থাকবে না। সবগুলো ওভারপাস ও আন্ডার পাস থাকবে। পদ্মার কাজ সম্পন্ন হলে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ নতুন মাত্রা যোগ হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা কমাতে কাজ করছি। আমরা ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করেছি। রেল তার নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই রেল ক্রসিংগুলোতে দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনকে আরও আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে বর্তমানে ৩৩ প্রকল্পে ফোর্থ লাইন, থার্ড লাইন ও ডাবল লাইনের কাজ চলছে। কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত চার লাইন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন আগামী বছরই চালু হবে বলে আমরা আশা করছি। আর যমুনা রেল সেতুর কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জ-সাতক্ষীরা-খুলনা রেল লাইনের স্থাপনের ফিজিভিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্পে জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ চলছে। রেলের চলমান এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রেলে অভাবনীয় পরিবর্তন আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বর্তমানে রেলের উন্নয়নের ফলে মানুষের আগ্রহ ও আস্থা বেড়েছে এবং রেলে যাত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।