মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানঃ তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে ঠনঠন করে কাঁপছে পুরো দেশ। মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে দেশের উত্তর-পশ্চিম জনপদে শুরু হওয়া এই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ সমগ্র দেশে বিস্তার লাভ করায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র দেশে বিরাজ করছে মৃদু থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। তীব্র এই শৈত্যপ্রবাহ বেশ কয়েকদিন থাকার আশংকা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) দেশের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এছাড়া, চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বগুড়ায় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে এখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্যান্য এলাকা এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নিকলী, শ্রীমঙ্গল, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের তাপমাত্রা সোমবার সামান্য কমতে পারে। সাধারণত বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে মৃদু; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়। গেল বৃহস্পতিবার থেকে রংপুর বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে এই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়।
আজ সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা বিরাজ করবে। আর বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় শীতের অনুভূতি তুলনামূলক বেশি অনুভূত হবে।
উল্লেখ্য, গত তিন বছর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারির ৮ তারিখে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা সেই সময় দেশের সব রেকর্ড ভেঙে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল।