মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানঃ এবারের ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের সবাই অটো পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পূর্বের জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসি ফল তৈরি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যম ফল ঘোষণার উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফল ঘোষণার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
এ বছর পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশ করা এইচএসসির ফলাফলে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এবারের পরীক্ষায় সারা দেশে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার ২৮৬ জন এবং তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।
এবার জিপিএ-৫ পাওয়ার হার ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এছাড়া, ২০১৯ সালে মোট পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
ঢাকা বোর্ডে ৫৭ হাজার ৯২৬ জন, রাজশাহী বোর্ডে ২৬ হাজার ৫৬৮ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১৪ হাজার ৮৭১ জন, যশোর বোর্ডে ১২ হাজার ৮৯২ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১২ হাজার ১৪৩ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১০ হাজার ৪০ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৯ হাজার ৩৬৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ৫ হাজার ৫৬৮ জন এবং সিলেট বোর্ডে এ বছর ৪ হাজার ২৪২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
এছাড়া, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪৮ জন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ৪ হাজার ১৪৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
এর আগে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ প্রাক্কালীন সময়ে পরীক্ষা ছাড়া সব শিক্ষার্থীকে পাস করানো হয়েছিল। এবার করোনা মহামারির কারনে সেই একই পথে হাঁটতে বাধ্য হলো সরকার।
উল্লেখ্য, এবার জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ থাকার পরও এইচএসসিতে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ মূল্যায়নের ফলে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ-৫ পাননি ৩৯৬ পরীক্ষার্থী। আবার ওই দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না থাকার পরও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪৩ পরীক্ষার্থী।