প্রেস বিজ্ঞপ্তি::
সুলতানপুরের মৃত শেখ আব্দুল মতিনের পুত্র শেখ জুয়েল হাসান ইটাগাছার মৃত ঈমান আলীর বড় পুত্র মােঃ বদরুজ্জামান অরফে মামুনের কাছ থেকে ১/৬/২০২০ থেকে ইং ৩০/৫/২০২৫ পর্যন্ত পাঁচ বৎসরের চুক্তির ভিত্তিতে রইচপুরের খড়িবিলা সিটি এগ্রো কমপ্লেক্সের ২৫ বিঘাকে জমিটিতে মৎস্য খামার গড়ে তােলেন। এ সময় জুয়েল হাসান তার প্রতিষ্ঠান ভালাে ভাবে পরিচালনার জন্য জনৈক আফজাল হােসেন মিঠু নামে এক পার্টনার কে সাথে নেন।
দীর্ঘ ৭ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে লিজ নেওয়া ঘেরে শেখ জুয়েল হাসান মিনিমাম ৬ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ছাড়েন। মাছ গুলাে ইতিমধ্যে বড় হয়ে গেছে এবং বিক্রির উপযুক্ত পর্যায়ে আছে। ঠিক তখনই আফজাল হােসেন মিঠু ঘেরটি নিজে ঘেরটি একক ভাবে পরিচালনার করার লক্ষে জমির মালিকের ছেলে মৃত ঈমান আলীর পুত্র বদরুজ্জামান মামুন কে বেশি টাকার লােভ দেখিয়ে মিঠুর স্ত্রী ওয়াহিদা প্রমার নামে পূর্বের চুক্তি ভঙ্গ করে অবৈধ ভাবে একটি চুক্তি নামা করেন। যেটা সম্পূর্ণ অবৈধ ও আইনগত দণ্ডনীয় কাজ।
যেহেতু পূর্বের চুক্তি এখনাে ৭ মাস পার হয়নি এবং দেড় বৎসরের জমির হারির টাকা বাবদ সাড়ে তিন লাখ টাকা নেওয়া, সেহেতু ঐ জমি কিভাবে অন্য পক্ষকে লিজ দেন?
এমতাবস্থায়, ঘেরের লিজ নেওয়া প্রথম পক্ষ শেখ জুয়েল হাসান আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তথা নিজের লিজ নেওয়া ঘেরটি রক্ষার জন্য পার্টনার মিঠু ও তার স্ত্রী প্রােমার নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী। ডায়েরী নং১৬৪৫, তাং ২৫/১২/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানের নির্দেশনা মােতাবেক সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর হাসান রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উভয় পক্ষ কে ডেকে সমাধানের জন্য আলােচনা সাপেক্ষে ঘের সেচে সমস্ত ঘেরের মাছ বিক্রি করে পুলিশের তত্ত্বাবধানে বড় বাজার পদ্ম ফিস নামক আড়তে বিক্রিত মাছের টাকা জমা রাখা হয়। বর্তমানে মাছ ধরা অব্যহত আছে। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আড়তে মাছ বিক্রি হয়।
কিন্তু গত ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ এক চালান মাছ বিক্রি হয় এবং মাছ বিক্রির সেই টাকা নেওয়ার জন্য পুলিশের শর্তভেঙ্গে পার্টনার মিঠু’র স্ত্রী প্রমা শহরের কিছু উৎশৃংখল ছেলেপিলে নিয়ে আড়ৎ দাড়ের উপরে চড়াও হয়। এসময় ঘেরের প্রথম পক্ষ শেখ জুয়েল হাসান বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবল নিয়ে জুয়েলকে জুতা তুলে মারতে এগিয়ে যায় এবং অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে আড়তের লােক এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
জুয়েল হাসান জানান, পরবর্তিতে আড়তের ঐ ঘটনাটি কেন্দ্র করে মিথ্যা ও বনােয়াট কাহিনী তৈরি করে থানায় একটি মিথ্যা অভিযােগ দাখিল করেন।
তিনি আরাে জানান, ঐ বানােয়াট কাহিনী কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ করে আমার সুনাম ও দলীয় ভাবমুক্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। আমাকে নিয়ে প্রকাশিত সকল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে সবিনয় অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন যে, আমাদের দুই পক্ষের বিষয়টি নিয়ে একশ্রেণীর অসাধু চক্র বিভিন্ন ভুয়া পাওনা দাবি করে আমার ও মিঠুর ঘেরের মাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত মালিকদের কাছে তাদের নায্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমাদের দুই পক্ষের মাঝের ভুলবোঝাবুঝি অবসান হয়ে যাবে।
প্রাসঙ্গতঃ শেখ জুয়েল হাসান ২০০৩-২০০৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে সুনাম ও দক্ষতার সহিত বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। এছাড়া আ’লীগ সরকারের ২০০৯ সালে শেখ জুয়েল হাসান সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে জামাত শিবির দ্বারা নির্যাতিত ও গুরুতর হামলার শিকার হন।
ইতি,
শেখ জুয়েল হাসান
মোবাইলঃ ০১৭১৪-৯৫০৭৪৭