সাতক্ষীরা ব্যূরো:: সাতক্ষীরা’য় টাকা আত্মসাত ও শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর থানায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সাতক্ষীরা জেলার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। এবং এই কর্মসূচি থেকে শ্লীলতাহানির শিকার নারী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গ জানা যায় যে, আফজাল হোসেন মিঠু, পিতাঃ- বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত হাজী আব্দুল খালেক সরদার, ঠিকানাঃ- কাটিয়া লষ্করপাড়া’র বাসিন্দা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুরের খড়িবিলা সিটি এগ্রো কমপ্লেক্সের ২৫ বিঘা জমিতে শেখ জুয়েল হাসান এর সাথে একটি ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন হিসাবে গড়মিল থাকায় তার সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বা চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়।
এমতাবস্থায়, মৎস্য ঘেরের মালিকের ছেলে মৃত ঈমান আলীর পুত্র বদরুজ্জামান মামুন কে তার স্ত্রী ওয়াহিদা প্রমার সাথে পূর্বের চুক্তি বাতিল করে নতুন একটি চুক্তি করেন।
১৩-০১-২০২১ইং তারিখে পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য আড়ৎ যায়। এসময় ঘেরের প্রথম পক্ষ শেখ জুয়েল হাসান বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবল নিয়ে মারতে উদ্ব্যোত হয়। আড়তের লােক এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। জুয়েল মিঠু’র স্ত্রী প্রমা’র স্পর্শকাতর স্থানে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর কিল, ঘুশি, চড়সহ প্রমার পরণের কাপড় ধরে টানাটানি করে এবং অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানি করে।
পরবর্তিতে মােঃ সাইদুর রহমান অপু সহ অন্যান্যরা মিঠু’র স্ত্রী’কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক হামলাকারীর নামে মামলা দায়েরর পরামর্শ দেন।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মিঠু সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। কিন্তু সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান এজাহারটি রেকর্ড করতে বিলম্ব করে। একপর্যায়ে এজাহারটি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এবং মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু বিষয়টি আর স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে নি।
এরই প্রেক্ষিতে, অদ্য ২৪-০১-২০২১ ইং তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানার প্রধান ফটকে বিচারের দাবিতে অবস্থান নেয় স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তাদের একটাই দাবি কেন এই মামলা রেকর্ড করা কেন হচ্ছে না এবং কেন শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত জুয়েল এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা’য় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সংগঠন এর মূখপাত্র জানান, এই অন্যায়ের বিচারের দাবিতে আমরা আজ সাতক্ষীরা সদর থানায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। এবং আগামীকাল সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
বিষয়টি নিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার নারী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, অনতিবিলম্বে এই বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। তা না হলে যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির ঘটতে পারে।