মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সম্ভাব্য শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভক্ত-সমর্থকরা বলেছেন, ঢাকার মাঠে মাশরাফিকে মিস করবেন তারা। তাদের চাওয়া, বিশ্বকাপে ভালো খেলার মধ্য দিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকুক ম্যাশের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। ‘আমার কোনদিনই মাইন্ডসেট থাকে না। মাইন্ডসেট করে কিছু করি না। তো দেখা যাক, সামনে কী হয়।’ রোববার উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন মাশরাফি। মাশরাফি এখনি বলতে চান না। তবে শেষের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে চারদিকে। বিদায় লগ্ন এসে গেছে। বিসিবিও ধরে নিয়েছে, বিশ্বকাপ খেলেই ‘বাই’ বলে দিবেন ম্যাশ। যদি তাই হয় তাহলে ঘরের মাঠে শেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। দেশের মাটিতে তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের যাত্রা থামবে সিলেটে। তার আগে উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচ। ক্রিকেট কোচ ও সাংবাদিক জালাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এখানে মাশরাফি শেষ ম্যাচ, শুনতেই খারাপ লাগছে। নাগরিক দায়িত্ব থেকে সে হয়তো অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করছে। তবে সেটা তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ করে দিবে তা আমি ভাবি না। তার শরীর যদি সায় দেয় তাহলে আমি দোয়া করি বিশ্বকাপে সে এমন পারফর্ম করুক যাতে খেলা চালিয়ে যেতে পারে।’ নড়াইল এক্সপ্রেস থেকে ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক। ইনজুরির সঙ্গে সখ্যতা, প্রতিপক্ষের সামনে রুদ্রমূর্তি ধারণ, লাজ-সবুজের বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠা, এসব কিছুতেই মাশরাফির সঙ্গী হোম অব ক্রিকেট- মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ক্রিকেট কোচ ও সাংবাদিক জালাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এই মিরপুরে অনেক জয়ের পেছনে তার বড় অবদান আছে। মাশরাফি আমাদের কাছে একটা সিম্বল হয়ে গেছে। সিম্বলকে মিস করবো আমরা। আমি আশা করি, বিশ্বকাপ পর্যন্ত তো সেই খেলবেই। আর এই সময়ের মধ্যে সে নিজেকে নিংড়ে যতটুকু দিবে তাতে আমাদের ক্রিকেট অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’ দেশের হয়ে ২০০ ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন। তারমধ্যে ৬৩ ম্যাচই মিরপুরে। উইকেট নিয়েছেন ৯৩টি। ঘরোয়া ক্রিকেটসহ বহু কর্মকাণ্ডে হয়তো থাকবেন কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচে মিরপুরে শেষ বারের মতো খেলতে নামছেন ম্যাশ। এক সমর্থক বলেন, ‘ঢাকার মাঠে তাকে আর দেখতে পাবো না। খুবই মিস করবো মাশরাফিকে। তাকে অত্যন্ত ভালোবাসি।’ আরেক ভক্ত বলেন, ‘খেলা বলতেই যেখানে মাশরাফিকে বুঝি সেখানে মাশরাফি থাকবে না…। ওকে দেখে শেখার আছে অনেক কিছু। মানে, একটা গতি…, জীবন থেমে থাকার না। এই জিনিসটা খুব মিস করবো।’ কোথাও না কোথাও থামতে হয় তবু ভক্তদের ভালোবাসা আর আবেগ নিশ্চয়ই আরো বহুদূর নিয়ে যাবে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।