আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম হু হু করে বেড়ে চলছে। একে তো করোনার কারনে নাজেল অর্থনীতির চাকা, তার ওপর মুদ্রাস্ফীতির ভার। জিনিসপত্রের বাড়তে থাকা দামে নাভিশ্বাস উঠেছে পাকিস্তানের সাধারণ জনতার। গত এক বছর ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে আটার দাম। বেড়েছে আদা, গম সব কিছুরই দাম। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে ডিম। একেকটা ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ রুপি!
এখন শীতকাল চলছে। তাই বেড়েছে ডিমের চাহিদা। পাকিস্তানের পত্রিকা ডন অনুযায়ী, দেশের বেশীরভাগ এলাকায় শীতের কারণে ডিমের দাম বেড়ে ৩৫০ রুপি প্রতি ডজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেবল ডিমই নয়, অবিশ্বাস্য দাম এখন আদারও। আদা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার রুপি কেজিতে। গমের দাম কেজি প্রতি ৬০ রুপি। মুরগির কেজি বাড়তে বাড়তে ৩০০ রুপি। ১ কেজি চিনির মূল্য ১০৪ রুপি। এই হারে মূল্যবৃদ্ধিতে কোনও মতে পেট ভরানোটাই সাধারণ জনতার জন্য হয়ে উঠছে অত্যন্ত কঠিন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে দেখা গিয়েছিল ৭৭ শতাংশ পাকিস্তানিই মনে করছেন দেশ চলেছে ভুল পথে। ইমরানের দেশের সব প্রদেশেই তীব্র সংকটে অর্থনীতি। যে চারটি কারণকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে, তার মধ্যে একেবারে শীর্ষেই রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি।
পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, সেদেশের ২৯.৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করেন। সংখ্যার হিসেবে তা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। দৈনন্দিন সামগ্রীর আকাশছোঁয়া দামে এই শ্রেণির পাক নাগরিকরা পড়েছেন সবথেকে বেশি সমস্যায়।
এদিকে দেশের এই পরিস্থিতিতে ইমরান খানের সরকারের উপরে চাপ দিন দিন বাড়ছেই, তা বলাই বাহুল্য। এমনিতেই ঋণের ভারে ডুবে রয়েছে ইসলামাবাদ। ফলে রাতারাতি মুদ্রাস্ফীতিকে মোকাবিলা করাটা সম্ভব হচ্ছে না।