আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সমগ্র বিশ্ব চলমান মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত। আর গেল কয়েকদিন আগে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের একটি ধরন শনাক্তের পর আবারো নতুন করে ভ্যারিয়্য়ান্ট শনাক্ত হওয়ায় এবার আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরো দেশটিতে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করা দুই ব্যক্তির শরীরে করোনার দ্বিতীয় ধরনটি শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দুটি নতুন ধরন মিললো দেশটিতে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, আমাদের এখানে আরও একটি নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর তাতেই দুই জন আক্রান্ত হয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে এসেছে এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন লন্ডন এবং উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের আক্রান্ত ওই দুই ব্যক্তি। এ ভাইরাসটির নতুন বৈশিষ্ট্য দক্ষিণ আফ্রিকায় আবিষ্কৃত হয়। এ ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত ১৪ দিনে যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্রমণ করেছেন কিংবা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের অতি সত্ত্বর কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় এরই মধ্যে এই ভাইরাসটি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোয়াইলি ম্যাখিজে সতর্ক করে বলেন, তরুণরা আগে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন। তবে তারা এখন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলেন, ভাইরাসের এই বৈশিষ্ট্য বা ভ্যারিয়ান্টটি দ্রুত ছড়ায় এবং দেশটির অনেক এলাকায় এর সংক্রমণও বেশি দেখা যাচ্ছে। এই ভ্যারিয়ান্টটি নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে এটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। নতুন এই ভ্যারিয়ান্টটির সঙ্গে এর আগে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন বৈশিষ্ট্যের আরেকটি ভাইরাসের কিছুটা মিল রয়েছে। যদিও ভাইরাসটি দুটি আলাদা ভাবে বিবর্তিত হয়েছে।দুটি ভাইরাসেরই একটি নির্দিষ্ট অংশে এন ফাইভ জিরো ওয়ান ওয়াই (N501Y) নামে একটি পরিবর্তন হয়েছে। ওই অংশটি দিয়ে মানুষের দেহের কোষকে আক্রান্ত করে ভাইরাসগুলো।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন, আমার মনে হয় এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি যে ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগ থাকা উচিত সেটি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইরাসটি। গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো এটি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করা হয়। সূত্র: বিবিসি।