মোঃ সদরুল কাদির (শাওন), সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:: ‘নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে, বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাংদেহী নমোহস্তুতে’ মন্ত্র আর উলুধ্বনিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী আরাধনার লক্ষ্যে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বৃহৎ পরিসরে বিষ্ণুপুরে সরস্বতি পূজা ও আট দিনব্যাপী পঞ্চমী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর প্রান্তিক সংঘের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ‘টাইটানিক’ জাহাজের আদলে তৈরী করা হয়েছে আকষর্ণীয় প্যান্ডেল। পুজাকে আকর্ষণীয় করার পাশাপাশি বন্ধু মহলের সুদৃশ্য প্যান্ডেল, ডিজিটাল প্রতিমা, বর্ণাঢ্য আলোক সজ্জা জেলার মধ্যে সেরা বলে দাবি করেছেন বিষ্ণুপুর প্রান্তিক সংঘের সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটি।
বিষ্ণুপুর প্রান্তিক সংঘের সভাপতি শিবদাস বৈদ্য জানান, বিষ্ণুপুর ফুটবল মাঠে প্রান্তিক সংঘ এবং পিকেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পৃথক ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পূজা। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি রবিবার (২৬ মাঘ) সকাল ১০টা থেকে ১৬তম বার্ষিক সরস্বতী পূজা শুরু হবে। এরপর অঞ্জলী প্রদান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রসাদ বিতরণ, সাড়ে ৭টায় সন্ধ্যা আরতী ও আলোক সজ্জা প্রদর্শন করা হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা আরতী ও আলোক সজ্জা প্রদর্শনী, ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় বিষ্ণুপুর মদিনা নাট্য সংস্থার পরিবেশনায় ধর্মীয় নাটক ’লালন ফকির’ অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা আরতী ও প্রতিমা প্রদর্শনী, ১৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টায় পুরস্কার বিতরণী, ৭টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকা ও কলকাতার শিল্পীদের সমন্বয়ে পরিবেশিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টা থেকে প্রতিমা বরণ ও রাত ৮টায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে।
অপরদিকে বিষ্ণুপুর স্কুল পূজা উদযাপন কমিটি (বন্ধু মহল) ২৪তম বার্ষিক শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা ও পঞ্চমী মেলার আয়োজন করেছে। ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা হতে সরস্বতী পূজা, সাড়ে ৯টায় অঞ্জলি, সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রসাদ বিতরণ, সাড়ে ৭টায় সন্ধ্যা??! আরতী, ডিজিটাল প্রতিমা প্রদর্শনী ও আলোক সজ্জা প্রদর্শনী। ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা আরতী, ডিজিটাল প্রতিমা প্রদর্শনী ও আলোক সজ্জা প্রদর্শনী, ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় বিষ্ণুপুর তরুণ নাট্য সংস্থার পরিবেশনায় সামাজিক নাটক অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় দেশবরেন্য শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে খেলাধুলা, ১৬ ফেব্রুয়ারি স্কুল শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে প্রতিমা বরণ, সন্ধ্যা ৭টায় মা-বোনদের শঙ্কধ্বনী, উলুধ্বনী প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।