আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ব্যাপক সুরক্ষিত গ্রিন জোনে ফের কাতসুয়া রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইরাকের পুলিশ।
গতকালস্থানীয় সময় রোববার রাতে মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে এই রকেট হামলা চালানো হয়।বলে ইরাকের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এ হামলায় এক ইরাকি সেনাসদস্য আহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
ইরাকের সেনাবাহিনী বলেছে, একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ কমপক্ষে ৮টি রকেট হামলা চালানো হয়। এগুলোর বেশিরভাগই বিভিন্ন ভবন ও চেকপোস্টে গিয়ে আঘাত হানে।
এ সময় মার্কিন দূতাবাসে সাইরেন বাজতে থাকে এবং সেখানকার লোকজন ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালাতে থাকে।
এদিকে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মোট তিনটি রকেট বাগদাদের বাইরে জাফরানিয়া প্রদেশ থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে দু’টি রকেট বাগদাদের গ্রিনজোন এলাকার মার্কিন দূতাবাসের কাছে এসে পড়ে। বাগদাদের এই ভিআইপি জোনেই রয়েছে মার্কিন সহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। তবে এদিনের ঘটনায় হতাহতের খবর এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা হাতেম আল-জাবেরি আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, ওই এলাকায় তিনটি রকেট ছোঁড়া হয়। কোনোটিই লক্ষ্যে আঘাত করেনি। তবে একটি রকেট মার্কিন দূতাবাসের কাছে একটি আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে।
আল-জাবেরি বলেছেন, দূতাবাসের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্য দুটি রকেটকে প্রতিহত এবং সেগুলোকে ধ্বংস করে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে জানান তিনি। ইরাকের সরকার এবং মার্কিন দূতাবাস ওই হামলার ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। এদিকে কোনও গ্রুপই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটকে লজিস্টিক ইকুইমেন্ট পরিবহনের সময় একটি বহর লক্ষ্য বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই হামলায় একজন আহত ও দুটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ই জানুয়ারি বাগদাদের এই গ্রিনজোনেই মার্কিন দূতাবাসের কাছে মিসাইল হামলা হয়েছিল। ইরাকের আলা আসাদ ও ইরবিলে মার্কিন সেনা ও যৌথবাহিনীর দু’টি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর উড়ে আসে মিসাইল। বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন ড্রোন হানায় ছিন্নভিন্ন হয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক নেতা তথা রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের কুদস কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। তার পর থেকেই হুমকি, পাল্টা হুমকিতে যুদ্ধং দেহি মনোভাব দুই দেশেরই। ট্রাম্পের দেশকে প্রত্যাঘাতের হুমকি দেয় ইরান। জবাবে তেহরানের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতে গুরুত্ববাহী ৫২ জায়গা উড়িয়ে দেওয়ার পাল্টা হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারই মধ্যে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে দু’বার মিসাইল হামলা করে ইরান।