কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।
আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম এ প্রতিবেদন জমা দেন।
সুত্রে জানা গেছে, আলোচিত এই হত্যার ঘটনার তদন্ত শেষে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৫ জন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে র্যাব। যার মধ্যে ১৪ জন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
মামলায় ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জন জেলহাজতে আছেন। তারা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার, বাহারছড়া ক্যাম্পের বরখাস্তকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, টেকনাফ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছাড়াও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএনের তিন সদস্য। বাকি তিনজন স্থানীয়, একজনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এদিকে নিহত সিনহার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন মামলায় র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেছেন গেল বৃহস্পতিবার। দুজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের দায়মুক্তি দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ।
এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সহযোগী সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়।
পরে গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র্যাবকে। তদন্ত শেষে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৫ জন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে র্যাব।