স্টাফ রিপোর্টারঃ আরাফাত আহমেদ রনি
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ৩ বারের নির্বাচিত সফল সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম মহিউদ্দিন চৈাধুরীর জম্মদিন। ১৯৪৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানের সম্ভ্রান্ত চৈাধুরী পরিবারে জম্ম তার। তাঁর বাবা রেল কর্মকর্তা হোসেন আহমদ চৌধুরী এবং মা বেদুরা বেগম।
মহিউদ্দিন চৌধুরী ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৯৬২ সালে এসএসসি, ১৯৬৫ সালে এইচএসসি এবং ১৯৬৭ সালে ডিগ্রি পাস করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে এবং পরে আইন কলেজে ভর্তি হলেও ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত পড়া লেখা শেষ করতে পারেননি।
মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে ‘জয় বাংলা’ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেফতার হন।কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে ভারতে গিয়ে উত্তর প্রদেশের তান্ডুয়া সামরিক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণরত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্কোয়াডের কমান্ডারের দায়িত্ব পান।
মহিউদ্দিন চৌধুরী যুবলীগের নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন প্রায় দুই যুগ ধরে। যুক্ত হন শ্রমিক রাজনীতিতেও। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনী’ গঠন করেন। ওই সময় চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলা’র আসামি করা হলে তিনি কলকাতায় চলে যান। ১৯৭৮ সালে দেশে ফেরেন। ২০০৬ সালের ২৭ জুন তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। আমৃত্যু এ দ্বায়িত্ব পালন করেন। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী একটানা ৩ বার প্রায় ১৭ বছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন।
১৯৯৪ সালে প্রথমবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েই বিজয়ী হন। ২০০০ সালে দ্বিতীয় দফায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০০৫ সালে তৃতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে উত্থান-পতন ও নানান ঘটনাপ্রবাহে চট্টলবীরে পরিণত হওয়া মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর নগরীর একটি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেন।