প্রকৃতিতে এখন মিলছে শীতের ছোঁয়া। এই সময় মূলত সর্দি-কাশিতে ভোগেন অনেকে। সেই সমস্ত সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন অল্প করে বাদাম খান। বৈজ্ঞানিকভাবে দেখা গেছে বাদামে পুষ্টিগুণ যথেষ্ট থাকে। শীতকালে বাদাম খাওয়া আরও জরুরি।
শীতের এই সময় কেন বাদাম খাবেন চলুন জেনে নিই-
- বাদামে ভরপুর প্রোটিন থাকে। যা দেহকোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শিশুদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাদামের ভূমিকা অনেকটা। এর মধ্যে দুধের গুণাগুণও থাকে অনেকটা। তাই কেউ যদি দুধ খেতে না পারেন সেক্ষেত্রে বাদাম বিকল্প হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে।
- বাদামেও ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা শীতে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন বাদাম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী হয়।
- হার্টের জন্য বাদাম খুব উপকারী। বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল থাকে। এটি হার্ট অ্যাটাক এবং হৃদযন্ত্রজনিত অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে দেয়। বাদামে ট্রিপটোফ্যানও থাকে যা ডিপ্রেশন কমাতেও সাহায্য করে।
- বাদাম স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী। বাদামে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে। ক্যানসার কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়তা করে বাদাম।
- বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্টেরলস রয়েছে, যার আরেক নাম- বিটা-সিটোস্টেরল। এই ফাইটোস্টেরল ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।
- ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণেও বাদাম অনেকটা সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ খনিজ দ্রব্য। এই খনিজ উপাদানটি ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, মেটাবলিজম, কোষে ক্যালসিয়াম শোষণ এবং ব্লাডসুগার কমাতে সাহায্য করে। এক স্টাডিতে দেখা গেছে ২১ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বাদাম।
- দেহে ব্যাড কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে বাদাম। রক্তে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বাদামে রয়েছে ওলেয়িক অ্যাসিড। যা রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল কমিয়ে গুড কোলেস্টেরল বারিয়ে তোলে। সূত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
তাই নিয়মিত বাদাম খেলে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। আর এই শীতকালে বাদাম খাওয়াটাও জরুরি।