বিশ্ব যখন করোনায় পর্যদুস্থ্য হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে দেশে দেশে তখন, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।সোশ্যাল মিডিয়াতে আজগুবি সংবাদ প্রচার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দাবী করছে দেশের সেনাবাহিনী তাদের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। নির্দেশ পেলেই সেনাবাহিনী সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করবে। সেনাবাহিনীর একজন বহিষ্কৃত অখ্যাত মেজর প্রতিদিন গণমাধ্যমে এই প্রচারণা চালাচ্ছে এবং কানাডায় বসে। এতদিন ভেবেছি হয়ত পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায়! যদি এই পাগলের দাবী সত্য হয় তাহলে সরকার থাকে কি করে? ইতিমধ্যে অনেক তথ্য পেয়েছি বিভিন্ন মাধ্যমে। একটি চক্র সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। এদের সকলেরই শেকড় একটি। কারা কারা কি কারণে এই ষড়যন্ত্র করছে তা’ও বেরিয়ে এসেছে। দেশে এই চক্রটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। গনতান্ত্রীকভাবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও তাদের নেই আর। এদের উদ্দেশ্য এখন একটাই – বক্র পথে ক্ষমতা দখল করা। ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে প্রভু রাষ্ট্রের অধীন করে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করা। দেশ কিংবা জনগণ এই চক্রের মূখ্য ভাবনা নয়। এই কাজটি করতে তাদের প্রথম টার্গেট শেখ হাসিনা। কারণ শেখ হাসিনা দেশ আর জনগণ ছাড়া অন্য কিছুই ভাবেন না। এই চেষ্টাও নতুন নয়। ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর থেকেই এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন জনগনের দোয়া আর আল্লাহর অশেষ কৃপায়। অবশ্য পরিস্থিতি একটু বদল হয়েছে, জনগণ আর দলের ত্যাগী কর্মী বাহিনী সজাগ রয়েছে। যারাই ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের উদ্দেশ্যে বলি, তোমাদের স্বপ্ন সফল হবেনা।
তবে একটি বিপদ রয়ে গেছে। শত্রু বাহিনী চেহারা বদল করে দলের সঙ্গে মিশে গেছে। এখন বোঝাই যায়না কে দলের কর্মী আর দলের শত্রু।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
২১ নভেম্বর ২০২০।