মাউথওয়াশ মাত্র ৩০ সেকেন্ডে মারতে পারবে করোনা। একটি ল্যাব গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাউথওয়াশ এই ভাইরাস মারতে পারে এমন ‘আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত’ পেয়েছেন তারা। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
কার্ডিফে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অব ওয়েলসে করোনা রোগীদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে এমন তথ্য সামনে এলো।
ডা. নিক ক্লেডন বলেছেন, মানুষের রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে মাউথওয়াশ।
লালারসে থাকা ভাইরাসকে মাউথওয়াশ ধ্বংস করতে পারলেও এটা করোনার চিকিৎসায় হয়তো ব্যবহার করা যাবে না। কেননা এটা রেসপিরেটরি ট্রাক্ট বা শ্বাসতন্ত্রে পৌঁছাবে না। এ সংক্রান্ত একটি লেখা আগামী বছরের শুরুতে প্রকাশিত হতে পারে।
ডা. ক্লেডন বলেছেন, কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ইতিবাচক ফল আসলে হ্যান্ডওয়াশ, সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরাসহ সিপিসি-ভিত্তিক মাউথওয়াশ মানুষের রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে পারে।
কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড থমাস এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যুক্তরাজ্যের ডেন্টিল ব্র্যান্ডের মাউথওয়াশ ব্যবহার করা হয়। ড. থমাস বলেন, যদিও এই ইন-ভিট্রো স্টাডি খুব আশাব্যঞ্জক এবং একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ; তবে এখন স্পষ্টতই আরও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ল্যাবে আমরা যে সফলতা অর্জন করেছি সেটা করোনা রোগীদের মধ্যে রিপ্রোডিউস করা সম্ভব কিনা তা আমাদের দেখতে হবে। ২০২১ সালের শুরুর দিকে আমরা আমাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।