মোঃ মোশফিকুর ইসলাম,নীলফামারী: সনাতন ধর্মালম্বিদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পুজায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়টি পুজা মন্ডবে সর্বক্ষনিক তত্ত্বাবধান ও বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাসুম আহমেদ। যষ্ঠির দিন থেকে বিজয়া দশমীর দিন পর্যন্ত তিনি ডোমার সদর ইউনিয়নের প্রতিটি পুজা মন্ডবে গিয়ে পুজা সুষ্ঠ ও উৎসবমূখব পরিবেশে পালন ও করোনা বিষয়ে সনাতন ধর্মলম্বিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি প্রতিটি মন্ডবে আর্থিক সহায়তাও করেছেন।
উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাসুম আহমেদ আসন্ন ডোমার সদর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। গত ২০১৫ ইং সালের তিন মার্চ ডোমার ইসলামিয়া সিনিয়র দাখিল মাদ্র্যাসায় ডোমার সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী নির্ধারনে বর্ধিত সভা হয়। সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ময়নুল হকের সভাপতিতে ওই সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ওই ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী ছিল তৎকালীণ উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক মাসুম আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। দুই জনের মধ্যে কোন সমঝোতা না হওয়ায় তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের সিন্ধান্ত নেয়া হয় ওই বর্ধিত সভায়। সেখানে ৬৫ জন কাউন্সিলর ভোট প্রদান করেন। এরমধ্যে ৪৩টি ভোট পান মাসুম আহমেদ ও ২২ টি ভোট পান হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ওই ফলাফল জেলার মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের ভোটের ফলাফল উপেক্ষা করে হাফিজুল ইসলাম হাফিজকে দলীয় প্রার্থী নির্ধারন করা হয়।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুম আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দূর্গা পুজায় আওয়ামী লীগ পরিবারের সকল সদস্যকে সনাতন ধর্মালম্বিদের পাশে থাকতে বলেছেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সেই নির্দেশ মেনে চলার। তিনি আরো বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে আমি তৃণমূলের দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেলেও আমাকে দলীয় প্রার্থী করা হয় নাই। এরপরেও দলীয় সিন্ধান্ত মোতাবেক আমি নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হাফিজুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচন করেছি। এবারো আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমি ডোমার সদর ইউপি’র দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চাই। আশাকরি এবার আর তৃণমূলের সমর্থন উপেক্ষা করা হবে না।