মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-শার্শার নাভারন আলিম মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে খারাপ আচরন অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করার কারনে দশম শ্রেনীর সুমি নামে এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।(রোববার ৩ই ফেব্রুয়ারি)শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে সুমি জানায় তার সাথে তার মাদ্রাসার শিক্ষক রেজাউল বকুল খারাপ কথাবার্তা এবং ক্লাসে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে অপমান মুলক কথা বার্তা বলায় সে বাধ্য হয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।বিষপান করলে তাকে দ্রুত বাড়ির লোকজন স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দিলে সে বেঁচে যায়।কেন শিক্ষক তাকে অপমান সুচক খারাপ কথা বার্তা বলল এ প্রশ্নে সুমি বলে, সে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি যেতে দেরি হয়েছে স্যার এটা দেখে নাভারন বাজারে।সে ১২ টার সময় ছুটি নিয়ে বাড়িতে আড়াইটার সময় যখন যায় তখন স্যার এটা দেখে পরদিন তাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি ছুটি নিয়ে নীল কুঠি পার্কে গিয়ে খারাপ কাজ করেছো।তাকে সকলের সামনে আরো খারাপ কথা বলায় সে এটা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।সে আরো জানায় তার রহমান নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে তার সাথে বাজারে বসে এক রেষ্টুরেন্টে নাস্তা করে বাড়ি যেতে দেরী হয়ে যায়।এ ছাড়া ইতিপুর্বে এই বকুল স্যার আমাকে বাজারে একটি ছেলের সাথে কথা বলার অপরাধে বেত দিয়ে ৩৩ টি আঘাত করেছিল।তাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বিক্ষত হয়েছিল।আমি স্যারকে বুঝানোর চেষ্টা করি স্যার আমি না স্যার আপনি ভুল দেখেছেন।কিন্তু স্যার এটা বিশ্বাস না করে আমাকে বেদম ভাবে মারপিট করে।সুমির মা বলে আমার মেয়েকে বকুল মাষ্টার খারপ কথা বলেছে ।তবে রহমান নামে ঐ ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে বলে শিকার করে।এদিকে সুমির পিতা নাসির উদ্দিন ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নিার্বাহী অফিসারের কাছে তার মেয়ের সাথে খারাপ আচরন এবং মারধরের বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে।এ ব্যাপারে নাভারন আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক রেজাউল বকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি তাকে খারাপ কোন বাক্য প্রয়োগ করি নাই।শুধু তাকে বলা হয়েছে তুমি ছুটির আগে ছুটি নিয়ে দেরীতে বাড়ি গেলে কেন।এর কারনে সে রহমান নামে ঐ ছেলেকেও বলে আমাকে স্যার অপমান করেছে। রহমান মাদ্রাসায় এসে আমাকে জানালা দিয়ে সালাম দিয়ে পরে বাইরে এনে বলে আমার সাথে সুমির সম্পর্ক আছে আপনি দয়া করে ওকে কিছু বলবেন না। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলেয়া বেগম বলেন শিক্ষার্থীরা অন্যায় করলে শিক্ষকদের শাসন করার অধিকার আছে।কিন্তু তা যদি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে তাহলে কিছু বলার নাই।আমরা চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ম থাকুক।এ প্রসঙ্গে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডলের কাছে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি।তার জন্য একটি তদন্ত টিম গটন করা হয়েছে তদন্তের পর সত্য ঘটনা জানা যাবে।