আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের সড়ক-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ‘বিএনপির হাত ধরেই’ চালু হয়েছিল আর সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে কাজ করছে শেখ হাসিনার সরকার।
আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনা এদেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছেন। এখন কোনো অপরাধী অপরাধ করে ছাড় পায় না। অপরাধী যত প্রভাবশালী বা দলীয় পরিচয়ের হোক কাউকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেহাই দেননি।”
এ সময় অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের পথ চিরতরে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এজন্য সমাজের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিএনপির শাসনামলে বিচার না হওয়ার নজির তুলে ধরে ওবায়দুল বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার তারা করেনি এবং খুনিদের বিচার যাতে বন্ধ করা যায় সেজন্য তারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আমাদের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করে খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল। তখন হয়নি জেল হত্যার বিচারও। বিচার বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
“২০০১ সালে নারী নির্যাতনের রেকর্ড করে বিএনপি সরকার। পূর্ণিমা, রহিমা, ফাহিমাসহ হাজারো নারী নির্যাতিত হয়েছে। তারা বিচার করেনি। সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাত্রা ও ধরণ সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছিল। ২০০৪ সালে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালোনো হয় গ্রেনেড হামলা। বিচার তো করেইনি, বরং পদে পদে বাধাগ্রস্ত করেছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যাকাণ্ড চালানো এবং বিচারের পথ বন্ধ করার জন্য বিএনপি অপারেশন ক্লিন হার্টে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের বিচার বন্ধেও সংসদে ইনডেমনিটি দিয়েছিল।”
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ধর্ষণের শাস্তিতে বিদ্যমান আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করার মধ্য দিয়ে সরকার কঠোর মনোভবের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।