মোঃ মোশফিকুর ইসলাম, নীলফামারী : নীলফামারীর ডোমারে গৃহবধুকে নিযার্তন করে নিজের অপরাধ ঢাকতে উল্টো ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলীর সাথে গৃহবধু উধাও শিরোনামে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমাবর দুপুর ১২ টার দিকে ডোমার রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবলীগ নেতা রমজান আলী। এসময় নির্যাতিত ওই গৃহবধুর বাবা সফিকুল ইসলাম ও জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত নয় অক্টোবর শুক্রবার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মির্জাগজ্ঞ-দেবীগজ্ঞ সড়কের মফিজপাড়া এলাকায় ফরহাদ হোসেনর স্ত্রী সফিনা বেগম (২০) ও তার ফুপা সুমন ইসলাম ওরফে দুন্দা (৩৭) দঁাড়িয়ে ছিল। রজমান আলী ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সফিনা কান্না করতে করতে রমজানকে বড়আব্বু বড়ে ডাক দেয়। রমজান আলী সফিনাকে কান্না করার কারণ জানতে চায়। সফিনা জানায়, যৌতুকের টাকার জন্য তার স্বামী ফরহাদ, শ্বশুর-শাশুরী, ননদসহ কয়েকজন মিলে বেধরক মারধর করে। রমজান সফিনা ও দুন্দাকে তার বাবা একই ইউনিয়নের বেতগাড়া এলাকার সফিকুল ইসলামের বাড়িতে দিয়ে আসে। সফিনার শারিরিক অবস্থা গুরুত্বর দেখে তার বাবা-মা তাকে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই রাতে রমজান সফিনাকে দেখতে সেখানে গেলে, কয়েকজন সাংবাদিক তাকে সফিনার নির্যাতন সম্পর্ক্যে জানতে চায়। রমজান ওই সাংবাদিকদের বিস্তারিত বর্ণনা করেন। কিন্তু পরদিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টোলে রমজান ও সফিনা উধাও উল্লেখ করে সংবাদ প্রচারিত করে উক্ত সাংবাদিকরা। রাজনৈতিক প্রতিদন্দিরা সাংবাদিকদের দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে বলে সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা রমজান আলী দাবী করেন।
এসময় নির্যাতিতা সফিনার বাবা সফিকুল ইসলান জানান, আমার মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য প্রায় তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুরী মারধর ও অশ্লিল ভাষায় গালাগালি করে। গত নয় অক্টোবরও তাকে মারধর করে বাড়ি হতে বের করে দেয়। আমার মেয়েকে নির্যাতনের জন্য আমি মামলা করার সিন্ধান্ত নেই। এ কথাটি জানতে পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদের অপরাধ আড়াল করতে উল্টো রমজান ভাই আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে উল্লেখ করে ডোমার থানায় একটি মিথ্যা সাধারন ডায়েরি করে এবং মিথ্যা সংবাদও পরিবেশন করে। আমার মেয়ে সফিনা তাকে নির্যাতনের বিষয়ে ডোমার থানায় একটি অভিযোগ করেছে। আমার মেয়ে সফিনাকে নির্যাতনের আমি বিচার চাই।
এ বিষয়ে ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান জানান, এক পক্ষ একটি সাধারন ডায়েরী করেছে। আরেক পক্ষ একটি নারী নির্যাতনের অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।