যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ২০২৪ সালকে সামনে রেখে চাঁদে আবার মানুষ পাঠানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলারের (২৮ বিলিয়ন ডলার) এই প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে আর্টেমিস।
এই প্রকল্পে নাসা একজন পুরুষের সঙ্গে একজন নারীকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। ১৯৭২ সালে চাঁদের বুকে প্রথম মানুষ অবতরণ করলেও এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম কোনো নারীকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
২০২৪ সাল পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নাসা একটি পরিকল্পিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে। তবে নাসা বলছে, নির্ধারিত সময়ে চাঁদের বুকে নামতে হলে কংগ্রেসকে ৩২০ কোটি ডলারের তহবিল তাদের হাতে সময়মতো তুলে দিতে হবে। কারণ সময়মতো অবতরণ সম্পন্ন করার জন্য তা প্রয়োজন।
নভোচারী গোষ্ঠীর মধ্যে থেকেই কোনো নারীকে এই মিশনের জন্য বেছে নেয়া হবে। মি. ব্রাইডেনস্টাইন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সিএনএনকে বলেন, ২০২৪ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পদচারণা করবেন যে নারী তিনি হবেন- এমন একজন যার মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে। যিনি ইতোমধ্যেই কোনো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গেছেন।
প্রকল্পটির জন্য এই পর্যন্ত ১৭ জন নারী নভোচারীকে ন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে আগামী চার বছরের মধ্যে চাঁদে অবতরণের জন্য যোগ্যতার যে মাপকাঠি রয়েছে, তা অর্জন করে মিশনের জন্য তারা তৈরি হতে পারবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়।
তিনি বলেন- আর্টেমিসে নভোচারী হিসাবে কারা যাবেন সেটা নির্বাচনের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা একটা অনুপ্রেরণা হিসাবেও কাজ করবে বলে আমি মনে করি।