ককেশাস অঞ্চলের দুটি দেশ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে আবার আকস্মিকভাবে মারাত্মক সামরিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এদিকে আর্মেনিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাতে আজারবাইজানকে পরিপূর্ণ সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। একইসঙ্গে নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হওয়ায় আর্মেনিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছে আংকারা। অন্যদিকে, সমস্যা সমাধানে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
প্রসঙ্গত কারাবাখ হচ্ছে আজারবাইজানের একটি এলাকা। ১৯৯২ সালে আর্মেনিয়া সমর্থিত গেরিলারা সেটি দখল করে নেয়। তার আগে সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে জাতিগত আজারবাইজানি নাগরিকরা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
এদিকে গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান আর্মেনিয়ার জনগণকে সে দেশের নেতাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আর্মেনিয়ার নেতারা দেশের সাধারণ জনগণকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলতে যাচ্ছেন।
এরদোগান বলেন, আজারবাইজানের ওপর নতুন করে হামলা চালিয়ে আর্মেনিয়া এ কথায় প্রমাণ করেছে যে, তারা এই অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে তা খুবই অপর্যাপ্ত বলে এরদোগান মন্তব্য করেন। আগ্রাসন এবং নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে পুরো বিশ্বকে রুখে দাঁড়াতে আজারবাইজানের প্রতি সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এ বিবৃতি প্রকাশের আগে রজব তাইয়্যেব এরদোগান আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ঐতিহাসিকভাবে তুরস্ক আজারবাইজানের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে।
আজারবাইজানকে আর্মেনিয়া অভিযুক্ত করেছে যে, তারা কারাবাখ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, আজারবাইজান অভিযোগ করেছে আর্মেনিয়া সমর্থিত সন্ত্রাসীরা আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
আর্মেনিয়া দাবি করেছে, তাদের সেনারা আজারবাইজানের তিনটি ট্যাংক, দুটি হেলিকপ্টার ও তিনটি ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে আজারবাইজান আর্মেনিয়ার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।