ডেস্ক রিপোর্ট(মোস্তাফিজুর রহমান): প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে টিকা আবিষ্কারে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে রাশিয়া তাদের করোনার টিকার দিয়েছে অনুমোদন এবং প্রয়োগও শুরু করেছে কয়েকদিন আগ থেকেই। রাশিয়া ছাড়াও চীন তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যবহারের জন্য একটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বেশ আগেই। তাদের অন্য একটি টিকা রয়েছে ট্রায়ালে। কিন্তু এত কিছু এগিয়ে যাওয়ার পরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, করোনাভাইরাসের টিকার ব্যাপক ব্যবহার শুরুর আগেই বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ২০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। যা পুরো বিশ্বের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
ডব্লিউএইচওর জরুরি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান জানিয়েছেন , করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা যদি জোরদার না হয় তবে মৃত্যুর এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জেনেভার সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব হয়। এরপর এ যাবৎ করোনায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, টিকার জন্য সারা বিশ্বে এখন ১৮০টির বেশি উদ্যোগ চালু আছে। এর মধ্যে নয়টি টিকা তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে আছে।
টিকার এসব প্রচেষ্টার মধ্যে ২০ লাখ মৃত্যু কীভাবে সম্ভব ? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাইক রায়ান জানান, ‘এটা অসম্ভব কিছু নয়।’
রায়ান আরো বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা কিছু কমছে কারণ করোনার চিকিৎসার মান উন্নত হচ্ছে। তবে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং একটি কার্যকর টিকা মৃত্যুর সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছে যাওয়া ঠেকাতে সক্ষম নাও হতে পারে। তাই রায়ান করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির করোনা প্রতিরোধী টিকা বাংলাদেশে ট্রায়ালের জোরালো প্রস্তুতি চলছে। এ লক্ষ্যে রাজধানীর সাতটি হাসপাতাল প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। একই সঙ্গে এ টিকার ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ট্রায়ালের নেতৃত্বে থাকা আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও চীনের প্রতিনিধি দলের পরামর্শ মেনে সবকিছু করা হচ্ছে। টিকার ট্রায়ালের জন্য হাসপাতালের আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে। চীনের টিকা দেশে পৌঁছালেই ট্রায়াল শুরু হবে।