যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা ও ফ্লোরিডা রাজ্য শক্তিশালী হারিকেন স্যালি’র আঘাতে বিপর্যস্ত। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন দুই রাজ্যের সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। ঝড়ের কারণে, ভারী বৃষ্টিপাতে বেশ কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ক্যাটাগরি দুই মাত্রার শক্তি নিয়ে বুধবার সকালে উপসাগরীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় এই ঝড়। ফ্লোরিডার পেনসাকোলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফ্লোরিডা-অ্যালাবামা সীমান্তবর্তী এলাকায় বুধবার আঘাত হানে হারিকেন স্যালি। ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তথ্য অনুসারে, এ সময় স্যালির গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১০৫ মাইল। বাতাসের গতিবেগ কমে এলেও, অব্যহত রয়েছে বৃষ্টিপাত। বিশেষ করে পূর্ব অ্যালাবামা এবং পশ্চিম জর্জিয়ার অবস্থা ভয়াবহ।
ফ্লোরিডার পশ্চিমাংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব অ্যালাবামা উপকূলে দেখা দিয়েছে বন্যা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে জর্জিয়া, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা এবং অ্যালামাবার প্রায় সাড়ে পাঁচশো হাজার গ্রাহক।
ব্লাডউইন কাউন্টির জরুরি বিভাগের মুখপাত্র জানান, পানি বাড়তে থাকায় উদ্ধার কর্মীরা বাড়িতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্গত এলাকার মানুষকে উদ্ধারে ব্যবহার করা হচ্ছে হেলিকপ্টার।সেখানকার ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন বলেও জানান জরুরি বিভাগের এই মুখপাত্র।
ফ্লোরিডার স্যান্টা রোসা কাউন্টি কর্তৃপক্ষ জানান, জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ ও বিদ্যুতের তার সরানোর কাজ শুরু করেছেন। এদিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে ইস্কাম্বায়ি কাউন্টিতে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আটকা পড়া প্রায় ৩০০ বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছেন। উদ্ধার কাজে সহযোগিতায় সেখানে ন্যাশনাল গার্ডরে ২০০ সেনা আসার কথা রয়েছে।
সবচেয়া খারাপ অবস্থা পেনসাকোলায়। প্রবল বৃষ্টিতে ৩ থেকে ৪ ফুট তলিয়ে গেছে সেখানকার রাস্তাঘাট, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেতু। পেনসাকোলা ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান জানান, গত চারমাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মাত্র চার ঘন্টায় সেই পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঝড়ের প্রভাবে আরো ভারি বৃষ্টিপাতে জর্জিয়া ও ক্যারোলিনাসে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার বন্যা দেখা দিতে পারে। এক ফুটের বেশি বৃষ্টি হতে পারে সাউদার্ন ও সেন্ট্রাল অ্যালাবামা এবং অটলাল্টায়।