আওয়ামীলীগ বার বছর টানা ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করলেও দলের ক্ষতি হয়েছে। চাটুকার আর সুযোগ সন্ধানীরা ঢুকে গেছে দলে। দলের প্রকৃত কর্মী কখনোই দলের সুনাম বিনষ্ট করেনা, এটাই ত্যগী কর্মী চেনার উপায়। যত বড় নেতাই হউক সে যদি স্বার্থ হাসিল করে থাকে তবে, সে দলের জন্য ভাল নেতা নয়। এই নীতিতেই দলে এখন শুদ্ধি অভিযান চলছে। এই অভিযান ব্যর্থ হলে বিপদ হবে দলের।
প্রবাসে রাজনীতি করা নিয়ে অনেকেই নাক সিটকান। এখন দেশ থেকে বহুদুরে শত্রুরা সর্বনাশ করে চলেছে। মিথ্যা প্রচারনা করে দেশ এবং দেশের সরকারের সুনাম বিনষ্ট করছে। মুক্তিযূদ্ধের দল ক্ষমতায় তাই, ৭১ এর দালালরা দেশে নিরাপদে নেই। প্রবাসে বসেই ষড়যন্ত্র করছে সরকার উৎখাতের, মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে বিভ্রান্ত করছে মানূষকে। এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছে জামাত- বি এন পি ছাড়াও ৭৫ এর খুনীরা। ভার্চুয়াল সভার নামে দেশের নানা বিষয় এনে মিথ্যাচার করছে। দেশের টক শো এর মত করে প্রতিপক্ষ এনে বিতর্কিত করছে সরকারকে। অনেক নেতারা আমন্ত্রন পেয়ে যোগ দিয়েছেন এই বিতর্কে।
এখন প্রচারনার কৌশলটিও পরিবর্তন করে ধর্মের বদলে ভারত বিদ্বেষী প্রচারনা চালাচ্ছে। মনগড়া তথ্য দিয়ে মানূষকে আতংকিত করে তুলছে। বলছে শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে দিয়েছে এবং এখন দেশ চালাচ্ছে ভারত। পুলিশ এবং বর্ডার গার্ড (বি জি বি) তে চাকুরী করছে ভারতীয় নাগরীকরা। এমন বক্তব্যের সত্যতা খুঁজতে চায়না কেউ, শোস্যাল মিডায়াতে আবেগময়ী বক্তব্য শুনে মানূষ তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে, বিভ্রান্ত হচ্ছে শিক্ষিত মানূষেরাও। কানাডার একটি শহরে সামরিক বাহিনীর কিছু প্রাক্তন অফিসার নিয়মিত মিলিত হয়ে তাদের কর্ম পরিকল্পনা স্থির করছে। দলের নেতাদের মধ্যে ক’জন এদের অবস্থান এবং অবস্থার খবর রাখছেন জানিনা। মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) দেলোয়ার পরিচয়ে একজন প্রতিদিন ভারত হটাও আন্দোলনের আহবান জানাচ্ছে শোস্যাল মিডিয়াতে। কোভিড-১৯ আসার পর থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অপ প্রচারনা করে সরকারের সুনাম বিনষ্ট করে চলেছে। বিষয়টি গোয়েন্দা নজরদারীতে নেওয়া জরুরী। এই ষড়যন্ত্রকারীদের অর্থের উৎসটি খুঁজে তাদের সন্ধান করা প্রয়োজন।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
১৬ সেপ্টম্বর ২০২০।