বাংলাদেশে রিক্সা সম্ভবত সবচাইতে জনপ্রিয় এবং পুরান বাহন। রিক্সার আবিস্কার জাপানে। পাট কারখানার দুই ইংরেজ সাহেব রেংগুন থেকে দুটি রিক্সা কিনে এনেছিলেন নারায়নগঞ্জে। সেই থেকেই রিক্সার প্রচলন শুরু, এখন রিক্সা শহরের গতি রোধ করে ফেলেছে। ঢাকা শহরে কেউ বলেন তিন লাখ আবার কেউ বেশীও হিসাব দেখান। সঠিক রিক্সার সংখ্যাটি শুধু সিটি কর্পোরেশন জানে। কয়েক বছর আগে চেষ্টা চালিয়েছিলাম এবং একটি সংখ্যা পেয়েছি, সেই সংখ্যার সংগে উল্লেখিত সংখ্যার কোনই মিল নেই। নানা তথ্যে এবং ব্যক্তির মাধ্যমে রিক্সার সংখ্যাটি যা জেনেছি তা ভয়াবহ। বৈধ রিক্সা চিহ্নিত করা বর্তমান প্রযুক্তির যূগে খুব কঠিন বিষয় নয়। ডিটেক্টর দিয়ে একদিনেই সব চিহ্নিত করা যেতে পারে। বৈধ লাইসেন্সধারি রিক্সা চিহ্নিত হলে এবং বৈধ রিক্সা রাস্তায় চলাচল করলে এখনও রিক্সার স্বল্পতা ধরা পড়বে শহরে। ডিজিটাল যূগে এই সহজ কাজটি করা হচ্ছেনা কার স্বার্থে?
রিক্সার মালিক এবং চালকদের কাছ থেকে দৈনিক ঘূষ সংগ্রহনের পরিমান ঢাকা শহরেই প্রতিদিন দেড় কোটি টাকা। এই টাকা রাজস্ব ভান্ডারে জমা হলে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে যেত সহজ ভাবেই। তেমিনটি হয়নি, তাহলে এই অর্থ কার পকেটে যায়? বিষয়টি নতুন দুই মেয়র মহোদয় বিবেচনায় নিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শহরের ট্রাফিক জ্যামের চিত্রটিও বদলে যাবে। শুধু রিক্সা নয়, এখন অবৈধ লাইসেন্সধারী সি এন জি’র সংখ্যাও রাস্তার চিত্র বদলে দিয়েছে। চলছে অবাধ বানিজ্য যার ফল ভোগ করছে অসত পুলিশ আর বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মচারী। বিষয়টি কেউ জানেনা ভাবার কারন নেই। উদ্যোগ নিতে চাইলে এসব বিষয়ে ভাবনা করুন, বিল বোর্ড সরালে শহর দৃষ্টি নন্দন হবে (হয়ত) কিন্তু, এই অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করা গেলে শহরনা পুরু দেশটাই বদলে যাবে।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
১৩ সেপ্টম্বর ২০২০।