ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম শহর পরিচ্ছন্নতায় নেমেছে। শহর পরিচ্ছন্ন থাকবে সেটা নগরবাসিরও প্রত্যাশা। কিন্তু এমন কোন ম্যকানিজম পৃথিবীতে আবিস্কার হয়নি যা দিয়ে একবার ধমকে দিলেই বাংগালী বদলে যাবে। রাস্তায় দাড়িয়ে হুমকি দিলেই রিক্সাগুলি সঠিকভাবে চলতে শুরু করবে। ইট, বালু আর রডের স্তুপ ফেলে যারা রাস্তায় চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে তারা, জেনেশুনেই করে। অনুনয়, বিনয় করেও তাদের থামানো যায়নি। চলাচল বন্ধ হলেই মানূষ জানবে কে বাড়ী বানাচ্ছে আর কত ব্যয়বহুল বাড়ী বানাচ্ছে। এটাও ঐতিহ্যের অংশ মনে করে অনেকে। তবে মেয়রের চেষ্টাটি ভাল। মাথার উপর ঝুলানো ইলেক্ট্রিক তার সরানোর কথাও বলেছেন মেয়র আতিক। একমাত্র জার্মানীই তা করতে পেরেছে তবে, ব্যয়টি মাথায় রাখা সঠিক হবে। বিলবোর্ড খারাপ না, ঝলমলে আলো জালিয়ে শহরকে রংগীন করে রাখে। ব্যতয়টি হল, অনুমতি নেয়না ফলে রাজস্ব হারায় কর্পোরেশন। কিন্তু বিলবোর্ড ছাড়াও শহরজুড়ে পোষ্টারে রয়েছে কোটি কোটি, সংগে রয়েছে দেয়াল লিখন। কোন দেয়ালেরই রং চেনা যায়না। বাড়ী ভাড়া, কাজের বুয়া, ইঁদুর মারার ঔষুধ আর টিচারের জন্য পত্রিকায় খুঁজতে হয়না, শহরের দেয়ালই দেয়া আছে সবার ঠিকানা।পুরু শহরটাই একটি দেয়াল পত্রিকায় পরিনত হয়ে গেছে। উপদেশও দেয় ঢাকা শহরের দেয়ালেই ” এখানে প্রস্রাব করিবেন না” বা ” ধুম পান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর” “এখানে ময়লা ফেলা নিষেধ” এসব গুরত্বপুর্ন বিষয় জেনেইত মানূষ তা করে ঐখানেই। সংগে আছে রাজনৈতিক শ্লোগান। বড় দেয়ালের এপাশ ওপাশ করে বড় বড় অক্ষরে শিক্ষা দেয় রাজনীতিও। ছোট বড় মিলিয়ে পোষ্টারের খরচটি একেবারে কমনা। এমন শিক্ষিত জাতী পৃথিবীতে ক’টা আছে? তবে, ঢাকা শহরের (উত্তর এবং দক্ষিন) দেয়ালগুলি পরিস্কার করা গেলে শহরের চেহারাটি বদলে যাবে। দেয়াল মোছন বিলবোর্ডের চেয়েও বেশী জরুরী। মাননীয় মেয়রের কাছে স্বনির্বব্ধ নিবেদন জানাই, এই উদ্যোগটি নিন প্লিজ।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
১২ সেপ্টম্বর ২০২০।