প্রতিবেদক, প্রদীপ কুমার দেবনাথ: সারা বাংলাদেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জাতীয়করণ আন্দোলনে যোগদানের আহবান জানিয়েছেন বাশিস সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি।
তিনি বলেন ‘বেতন বৈষম্যে জর্জরিত শিক্ষকগণ একজোট হয়েছে। দু’একটা ভূঁইফোড়, নামসর্বস্ব ও ফেসবুক নির্ভর শিক্ষক সংগঠন ছাড়া সকল সংগঠন ও বাংলাদেশের প্রত্যেক বিভাগের সহকারী শিক্ষকগণ, প্রভাষকগণের একমাত্র চাওয়া জাতীয়করণ। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধানগণও আমাদের সাথে এসেছেন। তবে বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিরব ভূমিকায় আমি ও আমার সংগঠন বিস্মিত। কোন এক অদৃশ্য কারণে তারা শুধু নিরব থাকে এমন নয় বরং যারা আন্দোলনে বা জাতীয়করণের উদ্দেশ্যে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাদের আসতে অনুমতি দেওয়া হয়না। এ ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’ এবার ঐ সমস্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আবারও বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে নিজে এবং সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে জাতীয়করণ বিষয়ক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য।
আপনাদের সহযোগিতা আর আন্তরিকতাই জাতীয়করণ এনে দিতে পারে। আমাদের বারবার ব্যর্থতার কারণ অনেকাংশে আপনারা। জাতীয়করণ শুধু আমার কিংবা আমার সংগঠনেরই শুধু প্রয়োজন এমন নয়। এটা সবার প্রয়োজন।’ উল্লেখ্য আসছে ৫ অক্টোবর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ সোমবার রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবসে’ ব্যাপক বেতন বৈষম্য ও বঞ্চনার দায় হতে মুক্ত হতে ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি – নজরুল’ শিক্ষক মহাসমাবেশ ডেকেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন ‘আন্দোলন ব্যতিত কোন কিছু অর্জিত হয়েছে এমন ঘটনা বিরল। ৫% ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তি সবকিছুই আমাদের আন্দোলনের ফসল। ঠিক এভাবেই শিক্ষক জমায়েত হলে জাতীয়করণ ছিনিয়ে আনবো এটা নিশ্চিত। তাই আপনারা ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য বৃহৎ স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিবেননা সেই আশাবাদ রইলো।’