প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি খুলে দেওয়ার জন্য কোনোরকম নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুতির যে নির্দেশিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে-তা বিদ্যালয় পর্যায়ে সরবরাহ করে সবাইকে অবহিত করতে। একই সঙ্গে সচেতনতা তৈরির জন্য পোস্টার ও লিফলেটের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়ছে।।
তিনি বলেন, যখনই খুলে দেওয়া হোক না কেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর শর্ত প্রতিপালন করে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য একটি নির্দেশিকা (স্কুল রি-ওপেনিং প্ল্যান) তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রনালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্কুল খুলে দেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার, থার্মোমিটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রতিদিন কীভাবে ক্লাস পরিচালনা হবে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করে আলাদাভাবে সাত ক্যাটাগরিতে ৩০টির মতো নির্দেশনা রয়েছে এই পরিকল্পনায়। করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধিগুলো অনুসরণ করে এসব নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিদ্যালয় খোলার সরকারি নির্দেশনার পর ন্যূনতম ১৫ দিন আগে শিক্ষক, কর্মচারী এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করতে হবে।