গেল মে মাসের ২৯ তারিখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, চীনের যে ছাত্র ও গবেষকদের ‘নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক’ বলে মনে করা হবে, তাঁদের কোন ধরনের ভিসা দেওয়া হবে না। ট্রাম্পের সেই কথার সুত্র ধরে এক হাজারের বেশি চীনা নাগরিকের ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন প্রশাসন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের কার্যনির্বাহী প্রধান চাড উলফ জানিয়েছেন, “চীনা ছাত্র বা গবেষকদের সঙ্গে যদি কোনওভাবে তাদের দেশের সেনাবাহিনীর যোগাযোগ থাকে, তাহলে তাদের ভিসা দেওয়া হয় না। তারা যাতে গবেষণা সংক্রান্ত কোনও তথ্য চুরি না করতে পারে, সেজন্যই ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
উলফ এ ব্যাপারে অভিযোগ করে বলেন, অনেক চীনা নাগরিক আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসার অপব্যবহার করেছেন। ছাত্র বেশে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার ফলাফলও চুরি করতে চেয়েছিল তারা।
একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “চীনের উচিত প্রত্যেক মানুষের সম্মান রক্ষা করা।” এক্ষেত্রে তিনি চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের ওপরে অত্যাচারের অভিযোগের কথা উল্লেখ করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, হংকং-এ চীন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপরে আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। তাই তাদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা কড়াকড়ি করেছি। তিনি জানান, এ বছর ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চীনা গণপ্রজাতন্ত্রের ১ হাজারের বেশি নাগরিকের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ১০০৪৩ নম্বর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাঁরা ভিসা পাওয়ার অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছেন।
একইসঙ্গে ওই মুখপাত্র আরও জানান, প্রতিবছর বহু সংখ্যক চীনা নাগরিক আমেরিকায় আসেন। তাঁদের এক ক্ষুদ্র অংশকেই বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। বাকিদের আগের মতোই আমাদের দেশে স্বাগত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার চীনা নাগরিক আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কলেজগুলিতে ভাল পরিমাণ রাজস্বের যোগান দেন চীনা নাগরিকরা। যদিও করোনা অতিমহামারীর সময় অনেক চীনা ছাত্রই দেশে ফিরে গিয়েছেন। তাঁরা নতুন সেমিস্টারে ক্লাস শুরু করার জন্যও এখনো আসেননি।