অনেকেই বলেন শুনি “আমি রাজনীতি পছন্দ করিনা”। রাজনীতি পছন্দ করার বিষয়ওনা। রাজনীতি হল উপলব্দি, দেশপ্রেম না থাকলে এই উপলব্দি হবেনা। রাজনীতি জনগনের কাছে উপায় উপস্থাপন করে রাষ্ট্র পরিচালনার! জনগন বলে দেয় কে চালাবে সরকার। এই বলে দেওয়ায় ব্যাক্তি পছন্দ থাকতেই পারে। “অমুক কে আমি পছন্দ করিনা”- এই অধিকার সবারই আছে। সেই পছন্দকে নিশ্চিত করতেই গনতন্ত্রের চর্চা হয় ভোটের মাধ্যমে। রাজনীতিকে অপছন্দ করার মানুষের সংখ্যাটি কম না, অপছন্দ করা অন্যায়ও না। এই পছন্দতেই বলে দেয় ব্যক্তির রাজনীতিটি। যারা রাজনীতি পছন্দ করেনা বলেন তারাও রাজনীতি করেন এবং তাদের পছন্দের রাজনীতিটি ভিন্ন। বিরোধটি সেখানেই এবং এর শুরু হয়েছে বহু আগেই।
৭৫ সালে পছন্দের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে শুরু হয়েছে জোড় করে ক্ষমতা দখল। নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে বদলে দিয়েছে দেশের ইতিহাসটিও। গনতান্ত্রিক রাজনীতি তাদের পছন্দ নয়। এই সত্য কথাটি বলতে পারেনা বলেই রাজনীতির কথা পছন্দ হয়না। মনের কষ্টটি ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রকাশ করে ভদ্রভাবে। কষ্ট প্রকাশ করতে না পারার দুঃখটিও রাজনীতি, তাদেরও প্রত্যাশা আছে। তারাও চায় দেশ পরিবর্তন হউক তাদের মত করে। দূঃখী ব্যক্তিদের প্রত্যাশা পুরন হয়নি সত্য কিন্তু, সাধারন মানূষের প্রত্যাশা পুরন হয়েছে গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে। এখন আর দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়না। দেশে এখন আর খাদ্য আমদানি করতে হয়না। যোগাযোগ ব্যবস্থাটিও বদলে গেছে দেশের। দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র হবে সেই প্রত্যাশাটি পুরন হয়নি বলে কারো মনে দূঃখ হতেই পারে। তাদের চাওয়ামত শত্রূরা রাজনীতি করতে পারছেনা, সতীর্থদের দুঃখ দেখে মনোকষ্ট হওয়া দোষের নয়। রাজনীতিকে অপছন্দ করার মানূষ থাকবেই। সবাইকে একত্র করে দেশ পরিচালনা করাই রাজনীতি, এটাই গনতন্ত্র। এমন সহঅবস্থান দেশে নিশ্চিত হয়েছে বলেই গর্ব হয় দেশের জন্য। এমনটাই প্রত্যাশীত ছিল রাজনীতির কাছে। বিতর্ক হতে পারে আরও কি হতে পারত, দাবী উঠতে পারে কি হয়নি দেশে। জনগনের প্রত্যাশাটিইবা কি! এই হিসাবেও প্রাপ্তির দিকটাই ভারি। বিশ্ববিবেচকদের বিবেচনায় সব সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। যারা আগে বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশ মনে করত তারাই, এখন উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের নাম প্রচার করে। গ্রাম্য অর্থনীতি দেশেকে বদলে দিয়েছে। বিবর্তনের ভাবনা সবার মধ্যে আসেনা, যাদের এই দৃষ্টি আছে তারা দেশপ্রেমিক। বর্তমান নেতৃত্ব দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়েই দেশের পরিবির্তন এনে দিয়েছে। এই রাজনীতি যদি কারও পছন্দ না হয় না হউক। রাজনীতি অপছন্দের মানূষদের মনোকষ্ট হলেও দেশের মানূষ উন্নয়নের স্বাধ পেতে শুরু করেছে।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
৯ সেপ্টম্বর ২০২০।