বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভোরের দিকে একটি রপ্তানি কার্গো ভিলেজ থেকে একটি কার্গো চালানের ৭টি প্যাকেট থেকে ১৫ কেজি ওজনের এই মাদকগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ছয় কর্মচারীকে আটক করেছে।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানি কার্গো ভিলেজে ডুয়েল ভিউ স্ক্যানারে নিরাপত্তা তল্লাশি বা স্ক্রিনিংয়ের সময় এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা রপ্তানি পোশাকের চালানে কোকেনসদৃশ ‘এমফিটামিন’ নামের মাদক উদ্ধার করেন। ‘রপ্তানি পোশাক’ উল্লেখ করেগার্মেন্টস পণ্যের আড়ালে এই মাদক রপ্তানি করা হচ্ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘এমফিটামিন’ প্রথম ধরা পড়েছে। এই পণ্যগুলো নেপচুন ফ্রেইট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির গার্মেন্টস পণ্যের চালান। ইউনাইটেড ট্রেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই পণ্যগুলো প্যাকেজিং করা হয়। আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি বিদেশি কুরিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে পণ্যগুলো হংকং হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া কথা ছিল।
তৌহিদ উল আহসান আরও বলেন, কার্গো চালানটিতে ১৩০টি কার্টনের মধ্যে ৭টির ভেতরে মাদক ছিল। এই কার্টনগুলোর ভেতরে থাকা কাপড়ে বিশেষ একটি স্তর তৈরি করে মাদকগুলো পলিথিনের প্যাকেটে রাখা হয়েছিল। এছাড়া বিমানবন্দরের ই-স্কিনিং সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে প্যাকেটের বাইরে একটি কার্বনেট আবরণ দেয়া ছিল। সাতটি কার্টন থেকে মোট ১৫ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়। এর সঠিক বাজারমূল্য জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন দেশে এর আলাদা-আলাদা বাজারদর রয়েছে। এমফিটামিন নামের এই মাদকের নানান ব্যবহার রয়েছে। ইয়াবাসব বিভিন্ন মাদক তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বিমানবন্দরের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, পণ্য পরিবহনের সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মারুফুর রহমান জানান, ৩৪০ কার্টন রপ্তানি পণ্যচালানে (রেডিমেট গার্মেন্টস) ৭ কার্টনে প্রায় ১৫ কেজি ৬৫৮ গ্রাম (প্যাকেটসহ গ্রস ওজন) পাউডার জাতীয় পদার্থ আটক করা হয়েছে। রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানা যাবে।
ডেস্ক রিপোর্ট: আরাফাত আহমেদ রনি