মোঃ জহির হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় রায়পুর পৌরবাসিকে নিয়ে মনোয়ন প্রত্যাশীগিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট বলেন সেবক হতে চাই, অভিভাবক নই-একজন তরুণ সমাজসেবক, সংগঠক, শিক্ষানুরাগী, প্রগতিশীল রাজনীতির ধারক গিয়াসউদ্দিন রুবেল ভাট, রায়পুর পৌরসভার এক গর্বীত নাম।
জনাব গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট ১৯৮১ সালে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার তৎকালীন দেনায়েতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হুমায়ুন কবীর ভাট রায়পুর বাজারের একজন স্বনামধন্য ও সফল ব্যবসায়ী। রায়পুর ব্যাবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন রায়পুর ব্যাবসায়ী কল্যান সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি দায়িত্বে রয়েছেন এবং একজন প্রবীন আওয়ামীলীগার।
দাদা হাজী বজলুল হক ভাট ছিলেন রায়পুর বাজারের প্রথম দিককার একজন বড় ব্যবসায়ী, ১৯৬০ সনে ব্যবসার গোড়া পত্তন, জনাব বজলুল হক ভাটকে রায়পুর বাজারের কাপড়ের ব্যবসার পথিকৃৎ বলা যায়। বংশ পরষ্পরায় গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট ও একজন ব্যবসায়ী।
শিক্ষাগত জীবনে তিনি জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি.এস.এস (অনার্স) মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
ইতোমধ্যে একজন প্রতিশ্রুতিশীল রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসেবে গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজকে গড়ে তুলেছেন। সেই ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সখ্যতা, এরপর ওতোপ্রোতভাবে ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়া, ছাত্রলীগই হয়ে উঠে তাঁর ধ্যান প্রাণ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রায়পুর পৌর 3 নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছিলেন , ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে রায়পুর সরকারি কলেজ থেকে রাজনীতির শুরু।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন, যুগ্ন-আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ( দেবাশীষ- স্বপন কমিটি) রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সহ-সম্পাদক হিসেবে ছিলেন ( রিপন- সাঈদ কমিটি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সাবেক সদস্য ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ( লিয়াকত- বাবু কমিটি)। ছিলেন আওয়ামীলীগের ক্রীড়া বিষয়ক উপ কমিটিতেও।
জনাব রুবেল ভাট ছাত্রজীবন শেষে কর্মজীবনে ফেরেন, পাড়ি জমান সুদুর আমেরিকার। এতো দুরে থেকেও ক্ষনিকের জন্যেও ভুলেননি নিজ জন্মস্থানকে, নাড়ির টান বলে কথা। রায়পুরের মাটি ও মানুষের সাথে গড়ে তুলেন প্রাণের বন্ধন। দুর্যোগ দুর্বিপাকে দাঁড়িয়েছেন রায়পুরের অসহায় মানুষের পাশে। রায়পুরের সামাজিক কর্মকান্ডেও সক্রিয় ভুমিকার স্বাক্ষর রেখেছেন গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট।
জতীয় মহামারী করোনায় নেতা কর্মী এবং জনসাধারনের পাশে থাকা, তাঁদের খোঁজ খবর নেয়া, প্রয়োজনে খাদ্য ও আর্থীক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার মত মহতি কাজে নিজকে বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি।
নিজ দলের রাজনৈতিক কর্মীদের বিপদে, বিশেষ করে ৫ জানুয়ারি ২০১৪, নির্বাচন পরবর্তী বি.এন.পি জামাতের নাশকতায় আহত, নিহত পরিবারের পাশেও এগিয়ে এসেছেন রুবেল ভাট।
একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে সামাজিকভাবেও অবদান রেখেছেন তিনি, ৬ নং কেরোয়া ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠা করেন মরিয়ম ভাট মেমোরিয়াল একাডেমী। রায়পুর সরকারী ডিগ্রি কলেজ এর শিক্ষক সংকট দূরীকরনে সহায়তা করণ, রায়পুর সরকারি মার্চ্চেন্টস একাডেমীর সরকারিকরনে অন্যতম ভুমিকা রাখেন এই তরুণ শিক্ষানুরাগী। ধর্মীয় কাজেও এগিয়ে এসেছেন রুবেল ভাট, তাঁর দাদা হাজী বজলুল হক ভাট সাহেবের নিজস্ব যায়গায় প্রতিষ্ঠিত বায়তুশ শরীফ জামে মসজিদ এর নতুন ভবন পুনঃসংস্করনে পূর্ন সহযোগীতা করেন তিনি।
সামাজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগামী পৌরসভা নির্বাচনে রায়পুর পৌরবাসির একজন নগন্য সেবক হিসেবে নিজকে বিলিয়ে দিতে চান এই গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট।
শৈশবে গ্রামের মানুষের অভাব নিজ চোখে দেখেছেন রুবেল ভাট। অর্থের অভাবে মেধাবীর ঝরে পড়া, যৌতুকের জন্য মেয়ের বিয়ে দিতে না পারার কষ্ট, চিকিৎসার অভাবে মানুষ ধুঁকতে দেখেছেন। তখন থেকেই মানুষের জন্য কিছু করার স্বপ্ন মনে লালন করতেন তিনি।
জনাব গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট মনে করেন, রায়পুর পৌরবাসির দীর্ঘদিনের যে হতাশা, উন্নয়নের নামে যে বঞ্চনা, সেই হতাশা ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিতে, নাগরিক সেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে রায়পুর পৌরসভাকে বাংলদেশের অন্যতম একটি মডেল পৌরসভায় পরিণত করা সম্ভব, প্রয়োজন ভিশনারি ,সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের।
তিনি আশাবাদী এই ভেবে যে, আগামী পৌরসভা নির্বাচনে রায়পুর পৌরবাসি পৌরপিতা হিসেবে এমন একজনকে বেছে নিবেন, যিনি হবেন নির্লোভ, সৎ ও দক্ষ একজন মানুষ।
তাই আগামী পৌরসভা নির্বাচনে পৌরবাসির দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন গিয়াসউদ্দিন রুবেল ভাট।
রায়পুর পৌরবাসি সহযোগিতা পেলে তিনি নিন্মলিখিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
(এক) নাগরিকদের সাথে পরামর্শ করে পৌর ট্যাক্স নির্ধারন, এবং এটি হবে সুষম ও সহনীয়।
( দুই) কমিউনিটি বেইসড রাস্তা ঘাট নির্মাণ এবং পূনঃ নির্মাণ। পৌরসভার অধীন প্রধান প্রধান রাস্তাগুলোর টেকসই উন্নয়ন করা।
(তিন) নিয়মিত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করনে ব্যবস্থা গ্রহন।
(চার) নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সকল পেশা ও শ্রেণীর নাগরিকদের সমন্বয়ে নাগরিক সেল গঠন করা।
(পাঁচ) একটি কার্যকরী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রায়পুর পৌর শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
(ছয়) ডাকাতিয়া নদীর পৌরসভা অংশের দখল ও দুষন মুক্ত করে নিয়াপদ পানি প্রবাহ এবং সরবরাহ নিশ্চিত করা।
(সাত) পৌরবাসির বিনোদনের জন্যে ডাকাতিয়া নদীর দুই পাশে ওয়াক ওয়ে নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধন করা। যেখানে থাকবে নৌকা ভ্রমন সহ চিত্ত বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা।
(আট) প্রস্তাবিত পৌর শিশু পার্কের কাজ দ্রুত সমাপ্ত করনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন।
(নয়) রায়পুর পৌর শহরে কয়েকটি পাবলিক টয়লেট স্থাপন।
(দশ) রায়পুর বাজারের নিরাপত্তায় পুরো বাজারকে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা।
(এগার) দুস্থ, অসহায়, চিকিৎসাহীন, কণ্যাদায়গ্রস্থদের সাহায্যে স্থায়ী ফান্ড সৃষ্টি করা।
(বার) একটি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা।
(তের) পৌরসভায় একটি কেন্দ্রীয় পাঠাগার এবং স্কীল ডেভেলপমেন্টের জন্যে কম্পিউটার ও কারিগরি সেন্টার প্রতিষ্টা।
(চৌদ্দ) মাদকের ভয়াবহতা থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষায় প্রতিটি ওয়ার্ডে মাদক নির্মুল কমিটি গঠন।
(পনের) পৌরসভার বিভিন্ন টেন্ডার কার্যক্রমের স্বচ্চতা আনয়ণ।
(ষোল) পৌরসভার তত্বাবধানে ঐতিহ্যবাহী তাঁত ও বয়ন শিল্প প্রতিষ্ঠা করা, কূটির শিল্পের প্রসারে সমাজের নিন্ম আয়ের লোকদের সম্পৃক্ত করা।
(সতের) পৌরসভাতে অবস্থিত মসজিদ, মন্দির মাদ্রাসার উন্নয়নে কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহন।
প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মক্তব প্রতিষ্ঠা করা।
এছাড়া, রায়পুর বাজারের জানযট নিরসন ও হকার মুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা। পৌরসভার মধ্যে স্থায়ীভাবে সাপ্তাহিক গবাদিপশুর হাটের ব্যবস্থা করা।
জনাব রুবেল ভাট পৌরবাসিকে উদ্দেশ্যে বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভায় রুপান্তর করি, এটি কোন কঠিন কাজ নয়, প্রয়োজন ভিশনারি, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের। তিনি বলেন, পৌরবাসির আগামির অভিভাবক নয়, একজন সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।