বাংলাদেশিদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ নেই। ফলে তার আগে দালালদের খপ্পরে পড়ে বা কারো প্ররোচনায় দেশটিতে যাওয়ার চেষ্টা না করার জন্য সতর্ক করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ১২টি দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর আগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিলো ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের নাগরিকদের ওপর। বৃহস্পতিবার আরও যে নয়টি দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়া প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ব্রাজিল, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, সৌদি আরব ও রাশিয়া।
তিনি বলেন, যারা ছুটিতে এসেছিলেন তাদেরকে আপাতত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়ে কেউ দালালদের খপ্পরে পড়ে বা কারও কথায় প্ররোচিত হয়ে যাবার চেষ্টা করবেন না। করলে চিরদিনের জন্য কালো তালিকাভুক্ত হয়ে যেতে পারেন। আর আমরা সার্বক্ষণিক আলোচনা চালিয়ে যাবো এবং এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হলে জানিয়ে দেয়া হবে।
মালয়েশিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলছে রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও)। যা শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় আসা ও অনিবন্ধিত অভিবাসীদের মধ্যে নতুন করোনা সংক্রমিতের ক্লাস্টার চিহ্নিত হওয়ার পর বাংলাদেশসহ প্রায় ১২টি দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার।
স্থানীয় সময় শুক্রবার মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, যেসব কর্মী মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে গিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন অথবা মালয়েশিয়ায় আসার জন্য অপেক্ষায় আছেন এবং ইতোমধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে কারণ বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মালয়েশিয়া সরকার রিকোভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও) জারি করেছে। এ আরএমসিও চলাকালে বিদেশি সাধারণ কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করার সুযোগ নেই।