ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ ‘র্যাগ ডে’ কে ‘অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভূত উৎসব’ আখ্যায়িত করে তা নিষিদ্ধ করেছে।
গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তবে শিক্ষাজীবন শেষে ক্যাম্পাসে উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নেচে-গেয়ে, আনন্দ-উল্লাসে ‘র্যাগ ডে’ পালনের প্রচলন রয়েছে অনেক আগে থেকেই।
রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথিত ‘র্যাগ-ডে’ নামে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভূত উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘র্যাগ ডে উদযাপন করতে গিয়ে অনেক সময় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হয়। তাই যেসব উদযাপন এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয় সেগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মার্জিত উপায়ে আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠান বা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো বাধা থাকবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এ সম্পর্কে বলেন, র্যাগ ডে’র নামে ‘অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভুত’ হওয়ায় এটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি আগেও নিষিদ্ধ ছিল, মূলত সেটিই পুনরায় আহবান করা হয়েছে।
প্রক্টর আরও বলেন, র্যাগিং আর র্যাগ ডে দুইটাই মোটামুটি সম্পর্কিত। সভায় র্যাগ নিয়ে কিছু বলা হয়নি, র্যাগ ডে’র বিষয়েই বলা হয়েছে। র্যাগ ডে’র নামে ক্যাম্পাসে উশৃংখল আচরণ বন্ধ করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ক্যাম্পাসে র্যাগিং প্রশাসনিকভাবে আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।