প্রাণঘাতী করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সাম্প্রতিক পরিস্থতিতে মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি প্রভাবিত হচ্ছে, বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক জেনারেল তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসাস।
আর করোনা আবহে এখন সামাজিক মেলামেশা কার্যত নেই বললেই চলে। উৎসব অনুষ্ঠানেও হাতেগোনা লোক। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেড়তে না বলা হচ্ছে।
জেনেভায় ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক জেনারেল তেদ্রোস জানান, করোনা আবহে একে অপরের সঙ্গে অবাধ মেলামেশার তেমন সুযোগ থাকছে না। ঘরবন্দিই থাকতে হচ্ছে মানুষকে। আর সে কারণেই মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে ।
তিনি আরও জানিয়েছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বরাবরই খুব উপেক্ষিত বিষয়। কারণ কোভিড-১৯ এ তৈরি হওয়া পরিস্থিতির আগেই প্রায় ১০০ কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের মনোরোগে আক্রান্ত।
মধ্যবিত্ত ও নিম্মমধ্যবিত্ত দেশগুলিতে ৭৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ মানসিক, স্নায়বিক সমস্যায় জর্জরিত কিন্তু তাদের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই করা হয় না। তাই আগামী ১০ই অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনাইটেড ফর গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ ও ওর্য়াল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর পক্ষে প্রস্তাব তুলে ধরবে বলে জানা গেছে।
এদিকে সাম্প্রতিক ইতিহাসে বিশ্বের বিপুল সংখ্যক মানুষ একইসঙ্গে এমন মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মুখোমুখি কখনও হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে সব দেশের সরকার এ সংকটের বিষয়টি আমলে না নিলে আরো বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।