সরকার প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস শনাক্তে অ্যান্টিজেন টেস্ট অনুমোদন দিয়েছে। তবে অ্যান্টিবডি টেস্ট এ মুহূর্তে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না এমনটাই জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব রোধে তাইওয়ান সরকার কর্তৃক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার তিন ধরনের টেস্ট হয়। একটা হলো পিসিআর টেস্ট, যেটা আমরা করে যাচ্ছি। আর দুটি টেস্ট- একটি অ্যান্টিজেন এবং অপরটি র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পিসিআর টেস্ট, একটা ল্যাব থেকে এখন প্রায় ৮৮টি ল্যাবে টেস্ট হয়। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। কারণ কিছু লোকের অনীহা দেখা দিয়েছে।
পিসিআর টেস্টের জন্য আমরা যে ফি নির্ধারণ করেছিলাম, তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০০ টাকার টেস্ট ১০০ টাকা, ঘরে বসে টেস্ট ৫০০ থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছে, যারা টেস্ট করে বিদেশে যান, তাদের সাড়ে তিন হাজার থেকে কমিয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা কেরে দেওয়া হয়েছে।
এসবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে নির্দেশনা পেয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
‘আর দুটি টেস্ট- একটি অ্যান্টিজেন এবং অপরটি র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। এটাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বলছি যে, র্যাপিড টেস্ট আমরা এ মুহূর্তে করব না, করছি না। এটার সিদ্ধান্ত এখনও নেগেটিভ। ’
‘অ্যান্টিজেন টেস্ট যেটা আছে, সেটা আমরা এখন অ্যালাও করব, সীমিত আকারে। সেটা হবে আমাদের হাসপাতালগুলোতে (সরকারি হাসপতাল) এবং আমাদের যে সরকারি ল্যাব আছে, সেখানে। যেখানে আমাদের ল্যাব নেই, সরকারের তত্ত্বাবধানে আমরা সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা আগামীতে করব। অর্থাৎ অ্যান্টিজেন টেস্ট আমরা সরকারিভাবে অ্যালাও করব। কিন্তু অ্যান্টিবডি টেস্ট আমরা এখনও অ্যালাও করব না। ’
অ্যান্টিজেন টেস্টে কম খরচে স্বল্প সময়ে রিপোর্ট আসে এবং ফলের নির্ভরতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।