বি এন পি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেছেন, জেনারেল জিয়াকে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে সরকার বংগবন্ধু হত্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ফখরুল সাহেব যদি দলের মহাসচিবের দায়বদ্ধতা থেকে কথাটি বলে থাকেন তাহলে,ভিন্ন কথা। কিন্তু যদি সত্যই ভাবেন জিয়া জড়িত ছিলেন না তাহলে অসত্য বলেছেন। দলের গুরত্বপুর্ন পদে বসে ভুল বিশ্বাসে কথা বলার খেসারত গুনতে হয়। সরকারকে অভিযুক্ত করার আগে উচিত ছিল সব তথ্য জেনে নেওয়া। জনাব ফখরুল রিজভী আহাম্মদের মত কথা বলবেন তা প্রত্যাশিত নয়।
১৫ই আগষ্টের আগে খুনীরা জেঃ জিয়ার সংগে দেখা করেছে, সব জানিয়েছে তাকে। জিয়া বলেছেন, তোমরা করতে পারলে করো। লন্ডন টেলিভিশন সাক্ষাতকারে কর্নেল ফারুক এবং রশিদ দুজনেই সে কথা বলে দিয়েছে। আরেক সাক্ষাতকারে দুই খুনী জানিয়েছে, অপারেশন সাক্সেসফুল হলে জিয়া প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন।
এই খুনীরা একবার নয় কয়েকবার জেনারেল জিয়ার সংগে সাক্ষাত করেছে, একই বিষয়ে কথা বলেছে। খুনীরা শফিউল্লাহ, খালেদ মোশারফ বা অন্য কোন সেনাপতির কাছে গেলোনা কেন? শুধু জিয়ার কাছেই বার বার কেন গেল? সি আই এ’র ষ্টেশন প্রধানের নিমন্রনে বেগম জিয়াসহ শুধু জিয়াই কেন গেলেন? উপ সেনা প্রধান হিসাবে জিয়া সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রপ্ত ছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে জেনেও তা গোপন রাখা কি ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকা নয়? কতিপয় মেজর কোন প্রোটোকলে বংগভবনে বাসকরার সুযোগ পেলো? সামরিক বাহিনীর শৃংখলা ভংগ করে কতিপয় মেজর সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে কার ইশারায়? অনেক প্রমান রয়েছে জিয়ার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার কিন্তু, নিজেকে প্রকাশ করেননি। সবচেয়ে বড় কথা, খুনীদের প্রজাতন্ত্রের কুটনীতিক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন জিয়া। তিনি যদি দ্বায়ী না হবেন তাহলে, বংগবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবেনা বলে আইন পাশ করালেন কেন? তিনি জানতেন, বিচার হলেই তিনি ফেঁসে যাবেন। এগুলি একেবারেই সাদামাটা তথ্য, সবাই জানে এখন। শুধু দেশে নয় বিদেশের তথ্য ভান্ডারেও সংগ্রহ রয়েছে ষড়যন্ত্রের সব গোপন তথ্য। জনাব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব জানেননা বলা যাবেনা। এতটা অশিক্ষিত তিনি নন। সব জেনে সত্য গোপন করা অপরাধ। দলকে জন বিদ্রোহ থেকে বাঁচাতে ফখরুল অভিযোগ করলেও জিয়া দায়ী সে কথা তিনিও জানেন। জনাব ফখরুল সত্য জানুক আর নাই জানুক এখন দাবী উঠেছে বংগবন্ধু খুনের নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বিচার করার। এই বিচার শুরু হলে সত্য গোপন করার দায়ে ফখরুলদেরও বিচার হতে পারে। মিথ্যা বলে রাজনীতি করার অপরাধে নিষিদ্ধ হতে পারে দল হিসাবে বি এন পি ও।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
১৯ আগষ্ট ২০২০।