সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘টিকটক’-এর মাধ্যমে চীন সরকার মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে স্বীকার করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
সিআইএ’র কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউজকে প্রতিবেদন আকারে এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস। এতে বলা হয়েছে, চীন সরকার টিকটকের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে বলে ‘কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
এমন সময় এ খবর প্রকাশিত হলো যখন মার্কিন কর্মকর্তারা নিরাপত্তাগত উদ্বেগকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আমেরিকা থেকে চীনা কোম্পানিগুলোকে বের করে দেয়ার অথবা এগুলোর তৎপরতাকে সীমিত করে ফেলার চেষ্টা করছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করছেন, টিকটক মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য চীন সরকারের হাতে তুলে দিচ্ছে। তবে টিকটকের পক্ষ থেকে এতদিন এই দাবি কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছিল।
কিন্তু তা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে আমেরিকায় টিকটকের তৎপরতা ৪৫ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। টিকটক এই আদেশের বিরুদ্ধে আজ (মঙ্গলবার) আমেরিকার আদালতে অভিযোগ দায়ের করবে বলে কথা রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার আদেশে বলেছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরে টিকটককে চীনা মালিকানা থেকে আমেরিকান মালিকানায় ছেড়ে দিতে হবে। তা না হলে এই সামাজিক মাধ্যমটির তৎপরতা আমেরিকায় স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।
এখন পর্যন্ত টিকটক কিনে নেয়ার জন্য যেসব কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে সেগুলোর মধ্যে মাইক্রোসফট ও টুইটার অন্যতম।