এখনো বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে বইছে রাজধানী ঢাকার চারদিক দিয়ে প্রবাহিত তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর পানি যদিও দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
এ তিনটি নদ-নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাজধানীর প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নামছে না পানি। গত কয়েক দিন ধরে পানিবন্দী হয়ে হয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন রাজধানী ও আশেপাশের নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
বংশী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাভার ধামরাই উপজেলার ২৮টি ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে। মানুষ গরু-ছাগল নিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েও ডাকাত আতংকে রাত কাটাচ্ছেন পাহারা দিয়ে।
ওদিকে বুড়িগঙ্গার পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে ফতুল্লার দশটি ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা । পানির স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নদী পাড়ের বেশ কিছু পাকাবাড়িসহ দোকানপাট ভেঙ্গে পড়েছে।
ওদিকে উত্তরের জেলাগুলিতে পানি কমতেও শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বাড়ী ঘরের পানি নেমে না যাওয়ায় এখনো মানুষ বাঁধ বা উঁচু রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে।
তবে গতকাল শনিবার বন্যা পূর্বাভাষ কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে, আজ নাগাদ ঢাকা সিটি করপোরেশন সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসহ দেশের ১২টি জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এসব জেলা হচ্ছে- সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পদ্মা-যমুনা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।।