অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল লক্ষ্যই থাকবে ধনী গরিবের বৈষম্য কমানো। এমন আভাস দিয়ে পরিকল্পনা কমিশন বলছে, দেশে অতি ধনী আর ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধি তেমন কোনো সমস্যা নয়। কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলমের মতে, প্রবৃদ্ধি বাড়ায় সম্পদশালীদের সংখ্যা বাড়বে। আর একজন অর্থনীতিবিদ বলছেন, সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টরাই দ্রুত ধন সম্পদের মালিক হচ্ছেন। যা আয় বৈষম্য বাড়াচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এই মুহুর্তে দেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা দুই কোটি ৪১ লাখ। আর তখনই ওয়েলথ এক্স নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, ধনী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হারে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। আর অতি ধনী বাড়ার হারে প্রথম।
পরিকল্পনা কমিশনের এই সদস্য বলছেন, যখন সর্বমোট উৎপাদন বাড়ছে তড়তড়িয়ে তখন সম্পদ সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক।
ধনী বাড়ার হারে বাংলাদেশের ওপরে আছে, নাইজেরিয়া আর মিশর। অন্যদিকে নীচে আছে ভিয়েতনাম, পোলান্ড, চীন, কেনিয়া আর ভারতের মতো দেশ। দেশেগুলোর বেশির ভাগই দুর্নীতিগ্রস্থ। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানও তেমন ভালো নয়।
যদিও গেল ১৮ বছরে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে এখন দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশে। অবশ্য ধনী মানুষের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাওয়ায়, আয় বৈষম্য বেড়েছে বেশ।
বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত পরিকল্পনা কমিশনও। তারা বলছেন, বৈষম্য কমাতে জোরদার পরিকল্পনা নিচ্ছেন তারা।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ণ শুরু হবে আগামী বছরের শেষ থেকে।
সূত্র : ওয়েলথ এক্স/মোঃ সদরুল কাদির (শাওন)