মো. কামরুজ্জামান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি: নেত্রকোনা সদর উপজেলায় এক প্রতারকের খোঁজ পাওয়া গেছে। যখন
দেশের রাজধানিতে রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদ ও জেকেজির সাবরিনার প্রতারণার খবরে তুমুল আলোচনা চলছে ঠিক তখনই
এই ‘প্রতারকের’খোঁজ পাওয়া গেছে। সে এমনই প্রতারক ‘মুশকিল আছান’ করে দেওয়ার নামে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার
মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ নিরিহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে।
এমনকি কোনো পাওনাদার টাকার জন্য তার কাছে তাগিদ দিতে আসলে তার উপর চলে মরার উপর খাঁড়ার গা, মামলা-হামলার
ভয় দেখিয়ে তাকে নিঃস্ব করে ফেলে। এই প্রতারকের নাম মো. এরশাদ উদ্দিন ওরফে লাল মিয়া, এলাকায় ‘‘ক্যান্সার’’ নামেও
পরিচিত। তার নামে থানায় রয়েছে ১ডজন মামলা। বর্তমানে সে পলাতক।
স্থানীয় ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা সদর উপজেলার সতরশ্রী জামেয়া আহ্মাদিয়া রেজভীয়া সুন্নীয়া দাখিল
মাদ্রাসা’র সহকারী মৌলভী শিক্ষক। সদর উপজেলার সতরশ্রী এলাকার মৃত জব্বর আলীর ছেলে এরশাদ উদ্দিন। ১৯৯১সালে অত্র মাদ্রাসায় প্রভাব বিস্তার করে এবতেদায়ী সহকারী শিক্ষক আলীম পদে নিয়োগ পায়।
মো. এরশাদ উদ্দিন ওরফে লাল মিয়া নিয়োগের পূর্বে ঠাকুরাকোণা ইউনিয়ন বিএনপি দলের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিল।
দায়িত্বপালন কালে দলের প্রভাব কাটিয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে তার নিজস্ব লোকদের সদস্য করে সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। যে তার অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে চায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে ভিটাবাড়ি ছাড়া করেছে। চাকুরী দেয়ার কথা বলে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে বহু টাকা আত্মসাৎ করেছে। এলাকায় তার ভাগ্নে-ভাতিজাদের নিয়ে অসামাজিক ও অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকে।
এখন নেত্রকোনার সদর থানার নং ৪০/৩৩১ মামলায় এরশাদ উদ্দিন পলাতক রয়েছেন বলে জানান এসআই মোঃ আব্দুস সালাম।
এ বিষয়ে জামেয়া আহ্মাদিয়া রেজভীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা’র সুপার জানান, এরশাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের
বিয়ষটি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবের কারণে আমি নিরুপায়।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর’র জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।