বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নমুনা পরীক্ষা কমিয়ে শনাক্ত কম দেখানোর মতো ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্তের ফল হাতেনাতে পেল। দুই দেশের নাগরিকদের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করল জাপান সরকার।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকদের পাশাপাশি ফিলিপাইন ও পেরুর নাগরিকদের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, জাপানের এমন সিদ্ধান্তে কার্যত বড়সড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। ভাবমূর্তিও কালিমালিপ্ত হল।
ইদানিং যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বেলাগাম সংক্রমণে কাঁপছে গোটা দক্ষিণ এশিয়া তখনই আচমকা নমুনা পরীক্ষা কমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সরকার। নমুনা কমিয়ে শনাক্তের সংখ্যা কম দেখিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে দুই দেশের শীর্ষ মহল। কিন্তু দুই দেশের জালিয়াতি ধরা পড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের। আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে দুই দেশের নিরীহ নাগরিকদের।
জাপানের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সহ চার দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ৭ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’
গত শুক্রবার জাপানের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, পেরু ও ফিলিপাইন থেকে জাপানে প্রবেশ করতে হলে দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা, দীর্ঘমেয়াদী ভিসাধারী এবং তাদের স্বামী-স্ত্রী বা সন্তানকে অবশ্যই কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট এবং জাপানে যাওয়ার অনুমতিপত্র দেখাতে হবে।’
আগে জাপানে যেতে এই ধরনের কোনও অনুমতিপত্র দেখানোর প্রয়োজন হত না। জাপানের উদ্দেশে যাত্রার ৭২ ঘন্টার আগে প্রত্যেক অভিবাসীকে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) টেস্ট অবশ্যই করাতে হবে। জাপানে প্রবেশের পর তাদের ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং এ সময় তারা গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারবেন না। সুত্রঃ দিজ মোমেন্ট।