যশোর-৩ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, পাকিস্তান ও আইএসআই ভর করেছে বিএনপি-জামায়াত এবং কতিপয় দলছুট মানুষের উপর। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে পারে না। তারা চায় না বাংলাদেশ সারাবিশ্বে মর্যাদার আসনে উঠুক। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর সদরের প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে বর্ধিতসভায় তিনি বক্তৃতায় এ কথা বলেন।তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি। তার সফল নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যুহার হ্রাসসহ বিভিন্নসূচকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছি।যশোরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আরও বলেন, সারাদেশের যে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, তা থেকে যশোরও পিছিয়ে নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা যশোরকে প্রথম ডিজিটাল জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই সময়ে যশোরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিক্যাল কলেজ, ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, বহুতল বিশিষ্ট আদালত ভবন, জনগণের প্রাণের দাবি ভৈরব নদ খননসহ স্কুল কলেজ সংস্কার ও ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। গত ১০ বছরে যশোর সদরে যে উন্নয়ন হয়েছে-ইতোপূর্বে তার অর্ধেকও হয়নি।তিনি বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর যশোর থেকে খুলনা তৃতীয় অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে উঠবে। ইতোমধ্যে যশোর সদর ও শার্শা উপজেলায় দুটি অর্থনৈতিক জোন করা হয়েছে।ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বর্ধিতসভায় আরও বক্তৃতা করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মিন্টু, প্রবীণ আওয়ামী লীগনেতা ডা. রবীন্দ্রনাথ বসু, আকরাম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা আসাদুজ্জামান মিঠু, মনিরুজ্জামান মনি, অধ্যাপক শেখ আলী আকবর, বিএম টিপু সুলতান, দেবব্রত দাস, মিজানুর রহমান, বাহারুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম জনি প্রমুখ।সভার শুরুত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। :- মোঃলোকমান হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধি