বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দেশের প্রায় সবখনে বন্যার পানি ঢুকে পরেছে। নদী ভাংগন ছাড়াও ধসে পরছে বাড়ী ঘর আর স্কুল কলেজ। অতিবৃষ্টি বন্যাকে ভয়াবহ করে দিয়েছে আরো। এমন অবস্থায় আগে হলে সাহায্যের আবেদন করা হত বিদেশের কাছে। এবার তা হয়নি বরং, খবরে দেখলাম ভারতের বানভাসি মানূষের জন্য ত্রান পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতীয় দুর্যোগে সাহায্যের গন্ধ পেলেই শুরু হয়ে যায় ত্রান চুরির উপদ্রপ। করোনায় মানুষকে ঘরে রাখতে প্রনোদনা ঘোষনা করেছে সরকার, প্রনোদনার চাল আর অর্থ চুরি করে ধরা পরেছে ১০ জন। তাদের কেউ বরখাস্ত হয়েছে আবার কেউ পদ/চাকুরি হারিয়েছে। তদন্ত চলছে সংশ্লিষ্ঠদের জন্যও। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্ধকৃত ত্রান বা অর্থ আত্নসাতের কোন খবর এখনো শোনা যায়নি। এটাই মনেহয় এখন নিন্দুকদের অশান্তির কারন তাই, টক শো’তে আলোচনার বিষয় এখন সরকার কি করলে করোনা কিংবা বন্যা রোধ করা যেত! সরকারের সমালোচনা করতে না পারলে টক শো ওয়ালাদের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে। সত্যটি হলো, এত বৈরিতার মধ্যেও দেশের অগ্রগতি থেমে থাকেনি। উৎপাদন, রপ্তানি রেকর্ড ছুইয়েছে। ৩৫ বিলিয়ন ডলার ন্যাশনাল রিজার্ভ, বিদ্যুত উৎপাদন এখন ২১ হাজার মেগাওয়াট। খাদ্য উৎপাদন ৩০ লক্ষ টন ঘাটতি পুষিয়ে উদবৃত্ত এবং রপ্তানিও হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং পদ্মা সেতু দেশকে সংযুক্ত করেছে সব দিকে। যারা আগে বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশ মনে করত, তারাই এখন উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্রের আখ্যা দিয়েছে। জিডিপিও প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে। যে সরকারের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, চুরি করে দেশ ধংস করে দিচ্ছে বলে যারা নিত্য সরকারকে দায়ী করছেন তাদেরকে বলি, চুরি করেই যদি সরকার এতটা করতে পারে তাহলে এই সরকারই উত্তম। আপনারাত খাম্বা দেখিয়ে বিদেশে শপিং মল বানিয়েছেন। অর্থ পাচার করে ব্যবসা গড়েছেন বিদেশে। সেই অর্থেই এখন রাজকিয় জীবিন কাটান বিদেশে। হুমকি দেন সরকার উৎখাতের। যারা টক শো’তে শোভাবর্ধন করেন তারা সব জেনেই সমালোচনা করেন স্বার্থে। বাকপটু বক্তারা জানেন কিভাবে কথাকে ঘুড়িয়ে বলতে হয়। টক শো’তে ভালই উপার্যন হয় অনেকের, টেলিভিশিনেরও। এখন নাটক দেখতে হয়না, সর্বজ্ঞানি বক্তারাই খুব ভাল অভিনেতা, টেলিভিশনের বিনোদন এখন টক শো।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
২৫ জুলাই ২০২০।