মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কথা স্বীকার করেছেন জুন ওয়ে ইয়েও। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাস করা জুন ওয়ে ইয়েও পরিচিত ছিলেন ডিকসন ইয়েও নামে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, জুন ওয়েই ইয়েও নামের ওই ব্যক্তি আমেরিকায় রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে চীনা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজে লাগিয়েছেন। ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এই স্বীকারোক্তির কথা প্রকাশ পেলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, জুন ওয়ে ইয়েও গত পাঁচ বছর ধরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্পর্শকাতার তথ্য চীনা গোয়েন্দাদের কাছে পাচার করতেন। তিনি চীনা গোয়েন্দাদের নানা প্রতিবেদন তৈরিতেও সহায়তা করতেন। যুক্তরাষ্ট্রে চীনা গুপ্তচরের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার জুন ওয়ে ইয়েও আদালতের কাছে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কথা স্বীকার করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জেম ডেমারস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘চীন সরকার আমেরিকানদের সংবেদনশীল তথ্য পেতে নকলের বিন্যাস ব্যবহার করেছে। ইয়েও এ জাতীয় একটি পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। তিনি নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো এবং চীনা সরকারের প্রতি আগ্রহী মার্কিনিদের আকৃষ্ট করার জন্য একটি মিথ্যা পরামর্শক সংস্থার ব্যবহার করেন। এটি মার্কিন সমাজের উন্মুক্ততার জন্য চীন সরকারের শোষণের আর একটি উদাহরণ।’
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইয়েও জানিয়েছেন, উচ্চ মাত্রা নিরাপত্তার স্বীকৃতি পাওয়া ব্যক্তিদের তিনি খুঁজে বের করতেন এবং ভুয়া মক্কেলদের জন্য প্রতিবেদন তৈরি করতেন তাদের নিয়ে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। পৃথকভাবে সেনাবাহিনীর সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি গোপন রাখা এক চীনা গবেষককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।